নিজস্ব প্রতিবেদন : রেল পরিষেবার ওপর দেশের কোটি কোটি মানুষ নির্ভরশীল। প্রতিদিন দেশের প্রায় দু’কোটি মানুষ ট্রেনের উপর ভর করেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে যান। আবার রেল পরিষেবার এত গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে এখন প্রান্তিক এলাকাতেও পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
রেলের তরফ থেকে এখন যে সকল এলাকায় রেল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ চালানো হচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো সিকিম। ভারতের একমাত্র রাজ্য হিসেবে এখনো পর্যন্ত সিকিমে ট্রেনের চাকা গড়ায় নি। তবে বাংলাকে সিকিমের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার জন্য যে রেল প্রজেক্টের (WB to Sikkim Railway Project) কাজ চলছে তা খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
বাংলা থেকে সিকিম রেল প্রজেক্টের কাজ ইতিমধ্যেই ৮০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে রেল সূত্রে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর পুজোতেই পর্যটকরা ট্রেনে চড়ে সরাসরি বাংলা থেকে সিকিম পৌঁছে যেতে পারবেন। এই রেল প্রজেক্টকে বাস্তবায়িত করার জন্য রেলের তরফ থেকে পাহাড় কেটে কেটে লাইন বসানোর কাজ চালানো হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে ভারতীয় রেল তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য বদ্ধপরিকর। বাংলা থেকে সিকিম রেলপথ চালু হয়ে গেলে আর নিউ জলপাইগুড়িতে নেমে আর গাড়ি ধরার প্রয়োজন হবে না।
বাংলা থেকে সিকিম রেলপথ নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে কৌতূহলের কমতি নেই। কৌতুহল এত মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার মূল কারণ হলো আরও সহজে যাতায়াত, পাশাপাশি যাতায়াতের খরচ কয়েকগুণ কমে যাওয়া। এই রেলপথ নিয়ে এত সব কৌতূহলের মধ্যেই আবার আরও একটি কৌতূহল হল, নতুন এই রেলপথে কোন কোন স্টেশন যাওয়া যাবে, অর্থাৎ সিকিম ছাড়াও আর কোথায় কোথায় যেতে পারবেন সাধারণ মানুষরা থেকে পর্যটকরা?
বাংলার সেবক থেকে সিকিমের রংপো পর্যন্ত সিকিমকে রেলপথে জুড়ে দেওয়ার জন্য প্রথম পর্যায়ের কাজ চলছে। এক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে মোট ৪৫ কিলোমিটার রেল পথের কাজ এখন চলছে। যে রেল পথকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য রেলকে ১৪ টি টানেল, ২২ টি ব্রীজ ব্যবহার করতে হচ্ছে। এই রেলপথের কাজ শেষ হয়ে গেলেই সেবক থেকে যাত্রীরা ট্রেনে চড়ে সিকিমের বিভিন্ন জায়গা পৌঁছে যেতে পারবেন। সেবক থেকে রংপোর মধ্যে সেবক এবং রংপো স্টেশন ছাড়াও যাত্রীরা তিস্তা বাজার স্টেশন, রিয়াং, মেল্লি স্টেশনে ট্রেনে ওঠানামা করতে পারবেন।