Sivok Rangpo Rail Project: ট্রেনে চড়ে সোজা সিকিম পৌঁছানো এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা! মোটামুটি সময় জানা গেল দিনক্ষণ

The Sivok Rangpo Rail Project will be completed in a few days: ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের জন্য দারুন খবর নিয়ে এলো কেন্দ্রীয় সরকার। সিকিম যাওয়ার জন্য পর্যটকদের আর কোন ঝক্কি ঝামেলা পোহানোর প্রয়োজন নেই। খুব সহজেই সরাসরি প্রতিবেশী রাজ্য সিকিম অব্দি যেতে পারবে পর্যটকরা। এখন থেকে আর নিউ জলপাইগুড়ি নেমে সিকিম যেতে হবে না। সরাসরি রেলপথে সিকিম পৌঁছে যেতে পারবে পর্যটকরা। খুব শীঘ্রই চালু করা হবে সেবক থেকে রংপো (Sivok Rangpo Rail Project) অব্দি রেলপথ। এটি সিকিমের প্রথম রেলপথ এবং প্রথম রেল স্টেশন হতে চলেছে। কবে থেকে এই পরিষেবা চালু হচ্ছে তা জানতে আজকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে।

তথ্যসূত্রে জানা গেছে, নতুন এই রেলপথটির জন্য প্রয়োজনীয় ১৪ টি টানেলের মধ্যে ১০ টি টানেলের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। অতএব নতুন এই রেলপথের কাজ অনেকটাই শেষ হয়ে এসেছে। ২০২৫ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে এই রেলপথ (Sivok Rangpo Rail Project) চালু করা হবে বলে জানা গেছে সেবক রংপোর রেলপথের মাধ্যমে প্রথমবার ভারতের অন্যান্য রাজ্য গুলির সাথে রেল পথে যোগাযোগ স্থাপন হতে চলেছে সিকিম রাজ্যের সবকিছু ঠিকঠাক মতন চললে ভারতীয় পর্যটন ব্যবসা আরো উন্নতি করবে এই নতুন রেলপথটির হাত ধরে। ২০২৫ সালে যদি রেলপথ উদ্বোধন করা সম্ভব হয়, তাহলে পুজোর ছুটিতে পর্যটকরা রেলপথে সিকিম যেতে পারবে বলে আশা রাখছে কতৃপক্ষ।

সেবক থেকে রংপো অব্দি ৪৪.৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে থাকবে ১৪ টি টানেল, ১৩ টি বড় ব্রিজ ও ৯ টি ছোট ব্রিজ মিলিয়ে মোট ২২ টি ব্রিজ, এই দীর্ঘ রেলপথে মোট পাঁচটি স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে। স্টেশন গুলি হল সেবক, রিয়াং, তিস্তা বাজার, মেল্লি ও রংপো। রেল পথে যে ১৪ টি টানেলের কাজ চলছে তার সব থেকে বড় টানেলটির দৈর্ঘ্য হল ৫.৩ কিলোমিটার এবং সবচেয়ে ছোট টানেলটির দৈর্ঘ্য ৫৩৮ মিটার। টানেল গুলির মধ্যে ৪ টিতে ইতিমধ্যে রেললাইন পাতার কাজও সম্পন্ন হয়েছে। এই গোটা রেলপথে ৮৬ শতাংশ রেললাইন পাতা হবে টানেলের ভিতর দিয়ে, ৫ শতাংশ রেল লাইন পাতা হবে ব্রিজের উপর দিয়ে এবং বাকি ৯ শতাংশ রেললাইন পাতা হবে খোলা আকাশের নিচে।

আরও পড়ুন 👉 World’s Highest Railway Station: ঘুম নয়, বিশ্বের উচ্চতম রেলস্টেশন এটি! জানেন না অধিকাংশরাই

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে রেলপথ তৈরি করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। একাধিক ইঞ্জিনিয়াররা বিভিন্ন প্রতিকূলতার মোকাবিলা করার জন্য উপযুক্ত পদ্ধতিতে বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে রেললাইনটিকে তৈরি করার চেষ্টা করছেন। ২০০৯-১০ সালে এই রেলপথ তৈরি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফ থেকে। এরপর জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং ও পূর্ব সিকিমের বনদপ্তর গুলির অনুমোদন ইত্যাদি পেতে বেশ কিছুটা সময় লেগেছে। সমস্ত জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পত্র হাতে আসার পরই এই প্রজেক্ট এর কাজে হাত দেওয়া হয়েছে।

প্রজেক্ট এর কাজ শুরু হবার পর থেকেও বেশ প্রতিকূলতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে কতৃপক্ষকে। ২০২০ সাল থেকে ২১ সাল অব্দি কোরোনা মহামারীর জন্য প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল কতৃপক্ষ এরপর ২০২৩ সালের বন্যা প্রজেক্ট এর কাজের গতি অনেকটাই কমিয়ে ফেলেছিল। এছাড়া অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো রয়েইছে। তবে বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করেই, বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করে দ্রুততার সাথে প্রজেক্টের কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করছে ইঞ্জিনিয়াররা। নতুন এই রেলপথের জন্য প্রয়োজনীয় তিস্তা বাজার স্টেশনটি তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এই স্টেশনটি ভারতের প্রথম আন্ডারগ্রাউন্ড রেলস্টেশন হতে চলেছে।