নিজস্ব প্রতিবেদন : ১১১ বছর আগে ডুবে যাওয়া টাইটানিক (Titanic) দেখতে যাওয়ায় কাল হল ৫ যাত্রীর। টাইটান (Titan) নামে ছোট একটি সাবমেরিন ওই পাঁচজন যাত্রীকে নিয়ে টাইটানিক দেখতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২৫০০ ফুট নিচে রওনা দেয়। তবে রওনা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই সাবমেরিনের সঙ্গে যোগাযোগ নষ্ট হয়। ঘটনার পর থেকেই চরম পরিণতির আশঙ্কা করা হচ্ছিল। অবশেষে সেই আশঙ্কায় সত্যি হলো। ওই সাবমেরিনে চড়ে সমুদ্রের নিচে যাওয়া পাঁচ জন যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করলো অভিযানকারী সংস্থা ওশানগেট।
সংস্থার তরফ থেকে ওই পাঁচজন যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করা হলেও সমুদ্রের তল থেকে তাদের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব নয় বলেও জানানো হয়েছে। এই ঘটনার পর নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বিশেষ করে মৃতরা যখন বিশ্বের প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি। কিভাবে এমন দুর্ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে কোন তথ্য এখনও পর্যন্ত পেশ করা না হলেও বিশেষজ্ঞ মহলের তরফ থেকে এই ঘটনা নিয়ে একাধিক মত পোষণ করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞ অফার কেটার ‘দ্য নিউ ইয়র্ক পোস্ট’ কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, জলের প্রচন্ড চাপ এমন দুর্ঘটনার কারণ হয়ে থাকতে পারে। মিলি সেকেন্ডের ভুলে বিস্ফোরণ হতে পারে ওই সাবমেরিনে। যারা এই সাবমেরিনে ছিলেন তারা হয়তো বুঝতে পারেননি এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ওই সাবেরে নিয়ে থাকা ব্যক্তিরা হয়তো বুঝতেই পারেননি যে এমন কোন ঘটনা ঘটেছে। মিলি সেকেন্ডের মধ্যেই তাদের সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে। এটা ভালো যে মৃত্যু ভয় তাদের তাড়া করেনি। সমস্ত ঘটনা এত অল্প সময়ের মধ্যে ঘটেছে যে কারো কাছে কোন বার্তায় পৌঁছায়নি।
ধ্বংস হয়ে যাওয়া টাইটানিক দেখতে যাওয়া টাইটান সাবমেরিন নিয়ে যে পাঁচজন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে একজন আবার ওশানগেটের CEO স্টকটন রাশ। যার পরিচালনাতেই সমুদ্রের নিচে যাওয়া হচ্ছিল। এর পাশাপাশি ওই সাবমেরিনে বাকি চারজন যাত্রী ছিলেন হামিশ হার্ডিং, পল হেনরি নারজিওলেট এবং শাহজাদা দাউদ ও তাঁর ছেলে সুলেমান।