Google Map: ছুটিতে গাড়ি চেপে বেড়াতে যাবেন গোয়া। ভাবা মতোই বিহার থেকে রওনা দেন রঞ্জিত দাসের পরিবার! সঠিক পথ চেনাবে গুগল ম্যাপ এমনটাই আশা করেন তারা। তবে গুগল ম্যাপ যে তাদের গোয়া থেকে সোজা কর্নাটকের জঙ্গলে পৌঁছে দেবে এমনটা কল্পনাও করেননি কেউ। বাধ্য হয়ে হিংস্র জন্তু-জানোয়ারদের বাসস্থানেই রাত কাটাতে হয় দাস পরিবারকে। শেষমেশ পুলিশ এবং স্থানীয় মানুষদের সাহায্যে বিপদ থেকে বাঁচেন তারা। গুগল ম্যাপের ভুল (Google Map) রাস্তায় গিয়ে বিপদে পরে গোটা পরিবার। প্রথমে কিছু আন্দাজ না করতে পারলেও মোবাইল টাওয়ার চলে যাওয়া এবং চারপাশ দেখে বিপদের আন্দাজ করে এই পরিবার।
এই ভাবেই বিকেল শেষ হয়ে সন্ধ্যে এবং শেষমেশ গোটা রাত তাদের ও ভয়ানক জঙ্গলেই কাটাতে হয়। বিপদ এবং বিপদের নিস্তারের চিন্তায় রাত কাটিয়ে ভোর হতে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন তারা। প্রায় চার কিলোমিটার হাঁটার পর অবশেষে মেলে মোবাইলের নেটওয়ার্ক। তখনই উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে পুলিশের আপদকালীন নাম্বার ১১২-তে ফোন করেন পরিবারের এক সদস্য। অল্প সময়ের মধ্যেই পুলিশ এসে উদ্ধার করে এই পরিবারকে।
খানাপুর পুলিশ পরিদর্শক মঞ্জুনাথ নায়ক জানান যে বেলাগাভি পুলিশ কন্ট্রোল রুম এই তথ্য খানাপুর পুলিশকে জানায়। এরপর গ্রামবাসীদের সাহায্যে এবং GPS ব্যবহার করে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আরও জানান যে ওই সময় কোনো বন্যপশুর আক্রমণে না পড়াটা একটা সৌভাগ্য। গুগল ম্যাপ (Google Map) দেখে চলার সময় বিপদে পড়েছেন এমন নজির কম নেই। কিছুদিন আগেই একই ভাবে গুগল ম্যাপের উপর ভরসা করে বিয়েবাড়ি যাত্রা করে উত্তরপ্রদেশের নির্মীয়মান ব্রিজ থেকে ৫০ ফুট নীচের নদীতে পড়ে মৃত্যু হয় তিন জনের।
আরও পড়ুন:Indian Railways: বড় ঘোষণা করলেন রেলমন্ত্রী, যাত্রী সুবিধার্থে আনা হলো ১২ হাজার নতুন জেনারেল কোচ
গুগল ম্যাপ ভুল তথ্য (Google Map) দিয়ে এই প্রথম যে সমালোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে এমনটা মোটেও নয়। দেশের একাধিক প্রান্ত থেকে গুগল ম্যাপের গোলযোগের (Google Map) খবর উঠে এসেছে। সম্প্রতি নভেম্বরেই বিয়েবাড়িতে যাওয়ার সময় গুগল ম্যাপের উপর ভরসা করে প্রাণ হারান তিন জন। সেই ঘটনার পর স্থানীয় ম্যাপ যাচাই করে নিতে গুগল ম্যাপের একটি তদন্ত শুরু করে উত্তর প্রদেশ সরকার।
এরও আগে চলতি বছরের আগষ্ট মাসে আশীষ কাচলিয়া নামের এক ব্যক্তি গুগল ম্যাপের ভুল (Google Map) পথনির্দেশিকা মেনে গাড়ি চালানোর ফলে মুম্বাইয়ের একটি বিমান পরিষেবা নিতে পারেননি। কারণ গুগল ম্যাপের ব্যবহার করে এয়ারপোর্ট পৌঁছতে তিনি অতিরিক্ত ৫০ কিলোমিটার রাস্তা ভ্রমণ করেছিলেন। আর এই জন্যই ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের রাস্তাতে তার সময় লাগে ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।