নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে একাধিক সমস্যার চিত্র উঠে আসছে। আর এই সকল সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে। করোনা উপসর্গ রয়েছে অথচ হাতে রিপোর্ট না থাকার কারণে বহু রোগীকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে না। যে কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বহু রোগীকেই। এবার সেই জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করলো রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।
মূলত করোনা উপসর্গ থাকা সত্বেও রোগীদের কাছে রিপোর্ট না থাকার কারণে হাসপাতালগুলি রেফার করেই মুক্তি পাচ্ছিলেন। সেই জায়গায় এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে লিখিতভাবে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, সামান্যতম করোনা উপসর্গ থাকলেই রোগীকে ভর্তি নিতে হবে। রেফার করা যাবে না। আর এক্ষেত্রে গুরুতর অসুস্থ হলে রেফারের মত কোন প্রশ্নই আসছে না।
রাজ্য সরকারের নতুন এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো রোগী সামান্যতম করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এলে তাকে প্রথমেই সারি (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস) ওয়ার্ডে ভর্তি করতে হবে। পাশাপাশি জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করে চিকিৎসা শুরু করে দিতে হবে। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার পর সেই রিপোর্ট আসতে সময় লাগে সবচেয়ে বেশি আড়াই ঘন্টা। অন্যদিকে আরটি-পিসিআর-এর রিপোর্ট আসতে সময় লেগে যায় ৪৮ ঘন্টা। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকায় কিছুটা হলেও স্বস্তির মুখ দেখছেন করোনা আক্রান্তরা।
[aaroporuntag]
পাশাপাশি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের এই নির্দেশিকা এটাও বলা হয়েছে যে কোন ব্যক্তির যদি র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার পর রিপোর্ট নেগেটিভ আছে অথচ ওই রোগীকে নিয়ে সন্দেহ রয়েছে তাহলে তার জন্য আরটি-পিসিআর-এর রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সেখানে আসা রিপোর্টের ওপর ওই রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।