Private Planes: রাজকীয় ব্যাপার! বাস, ট্রেন ছেড়ে প্রাইভেট প্লেনে কাজে যান এই এলাকার বাসিন্দারা

Prosun Kanti Das

Published on:

People here go to work on private planes: বাড়ির সামনে কিংবা রাস্তার ধারে সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে প্রায়ই দেখা যায়। শুধু কলকাতার রাস্তা কিংবা এদেশের রাস্তা নয়, বিদেশেও বহু জায়গায় রাস্তার ধারে পরপর গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু রাস্তার ধারে শাড়ি দিয়ে বিমান (Private Planes) দাঁড়িয়ে থাকতে বোধহয় কেউ দেখেন নি। ঘটনাটি মোটেই কোন গল্পের অংশ নয় একেবারে সত্যি ঘটনা। শুনতে অবাক লাগলেও এটি সম্পূর্ণ সত্যি।

এই পৃথিবীতে এমন একটি জায়গা রয়েছে রাস্তার ধারে প্রাইভেট প্লেন (Private Planes) পর পর দাঁড়িয়ে থাকে। কারণ এখানকার গ্রামবাসীরা গাড়ির বদলে ব্যবহার করেন প্রাইভেট প্লেন। পরপর শাড়ি দিয়ে দাঁড় করানো ওই প্রাইভেট প্লেনগুলো হলো সেখানকার অধিবাসীদের। গোটা সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি রীতিমতো ঝড় তুলে দিয়েছে। আপনারা যেরকম দৈনন্দিন কাজের জন্য, অফিসে যাওয়ার জন্য, এমনকি ঘুরতে যাওয়ার জন্য গাড়ি ব্যবহার করেন, তেমনই সেখানকার মানুষজন গাড়ির বদলে ব্যবহার করে প্রাইভেট প্লেন।

পৃথিবীর কোথায় এরকম অদ্ভুত দৃশ্য দেখা যায়? কোন বিশেষ নিয়ম কি চালু রয়েছে সেখান? কেনো দাঁড়িয়ে থাকে বাড়ির সামনে প্রাইভেট প্লেন (Private Planes)? সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় যে, যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল তখন আমেরিকার বিভিন্ন জায়গাতে ছিল এয়ারফিল্ড। সেই অপরিবর্তিত এয়ারফিল্ডগুলি দিয়ে সেখানকার মানুষ জায়গাটিকে পরিণত করে রেসিডেন্সিয়াল এয়ার পার্কে। জায়গাটির নাম হলো ক্যামেরন এয়ারপার্ক। জায়গাটি মূলত তৈরি করা হয়েছিল অবসরপ্রাপ্ত মিলিটারি পাইলটদের জন্যই। পরবর্তীকালে এখানেই পাইলটের সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পায়।

আপনাদের নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করছে জায়গাটি কোথায় অবস্থিত। ক্যালিফোর্নিয়াতে অবস্থিত ক্যামেরন এয়ারপার্ক হল এমন একটি শহর যেখানে প্রত্যেকের কাছে রয়েছে নিজস্ব বিমান (Private Planes)। এই অঞ্চলে প্রাইভেট প্লেন সবার বাড়ির সামনে দাঁড় করানো থাকে। ক্যালিফোর্নিয়ার এই জায়গাটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। বাইরের কোন মানুষ এই অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারে না। যদি এখানকার মানুষ কাউকে আমন্ত্রিত জানান একমাত্র তবে এখানে বাইরের কোন মানুষ প্রবেশ করতে পারে।

শহরটি ১৯৬৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল। ক্যামেরান এয়ারপার্কে বর্তমানে থাকেন ১২৪ জন। এখানকার সকল বাসিন্দাদেরই বিমান ও হ্যাঙ্গার রয়েছে পরিবহন ব্যবস্থা হিসাবে। এখানকার রাস্তাগুলো পর্যন্ত খুব চওড়া। প্রাইভেট বিমানগুলো যাতে সহজেই বাড়ির সামনে এসে দাঁড়াতে পারে এবং কোনো অসুবিধা যাতে না হয় তাই রাস্তা করা হয়েছে ১০০ ফুট চওড়া। টিকটক ভিডিওর মাধ্যমে এই জায়গার কথা সারা বিশ্বের মানুষ জানতে পারে। ইন্টারনেট হল এমন একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে সারা বিশ্বের খবর মানুষের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছায়। ক্যামেরন এয়ারপার্ক নিয়ে টিকটক ছাড়াও নিকসন ও তাঁদের সহযোগীদের একটি ইউটিউব ভিডিয়ো বেশ ভাইরাল হয়েছে।