নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রেসক্রিপশনে ডাক্তারদের হাতের লেখা, সইয়ের মত অদ্ভুত জিনিস পৃথিবীতে কমই রয়েছে। নেহাত ওষুধের দোকানের মালিক অথবা কর্মচারীদের দিব্যদৃষ্টি রয়েছে বলেই তারা চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন থেকে ওষুধের নাম উদ্ধার করে থাকেন। সম্প্রতি এমনই একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যা নিয়ে সোশ্যাল নাগরিকদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানান কৌতূহল।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে তাতে রয়েছে এক মেডিকেল কলেজের রেজিস্টারের সই। এটি হলো গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগের রেজিস্টারের সই। পাশাপাশি সেই স্বাক্ষরের নিচে লেখা রয়েছে তারিখ। যা দেখে স্পষ্ট এই ছবিটি খুব সাম্প্রতিককালের এবং কোন এক বিষয়ে ওই রেজিস্টার এমন স্বাক্ষর করেছিলেন।
সময়কাল যাই হোক না কেন আসল প্রশ্ন হলো ওই রেজিস্ট্রারের সই নিয়ে। তিনি যেভাবে এই সই করেছেন তাতে তা দেখে বোঝা মুশকিল এটি সই নাকি সজারু। পাশাপাশি এমন অদ্ভুত ধরনের সই দেখে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন, এমন কঠিন বিষয়টি কিভাবে মনে রাখেন ওই ডাক্তার বাবু। আবার অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, যেভাবে উনি সই করেছেন তাতে দ্বিতীয়বার এমন সই করতে দিলে পারবেন তো?
সই বা স্বাক্ষর এমন একটি জিনিস, যা ব্যক্তি পরিচয়ের অন্যতম চিহ্ন বা সংজ্ঞা। একটি সই প্রমাণ করে ঘটনার সময় ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ফলে এই সই স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যেকের ক্ষেত্রে আলাদা এবং স্বতন্ত্র হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি সই যাতে জাল না হয় তার জন্য অনেকেই সতর্ক থাকেন এবং সেই সর্তকতা থেকেই এমন নিজস্বতা আনার চেষ্টা করেন তারা।
I have seen many signatures but this one is the best. pic.twitter.com/KQGruYxCEn
— Ramesh M S (@Ramesh_BJP) March 20, 2022
কিন্তু তাই বলে কেউ একটি কাগজের ওপর সজারুর মত ছবি এঁকে তা সই বলে চালিয়ে দেবেন এই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। অনেকেই নানান প্রশ্ন তুলেছেন, যাদের মধ্যে একজন লিখেছেন, ওই রেজিস্টার হয়তো অনেকগুলি দাগ টেনে কলম ঠিক আছে কিনা দেখছিলেন। আবার আরেকজন লিখেছেন, এমন অদ্ভুত সই এর আগে জীবনে কখনো দেখিনি। তবে আপনারা কি বলবেন তা আপনাদের মত। অন্যদিকে এই সই নিয়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে কতগুলি লাইন রয়েছে তা নিয়েই।