১৮ ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিনেশন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সবথেকে বড় দাওয়াই ভ্যাক্সিনেশনকেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ১০০% ভ্যাকসিনেশন হলেই এই সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইটা অনেক সহজ হবে বলেই বারংবার মত পোষণ করছেন এই বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষজ্ঞ মোবাইল যখন ভ্যাক্সিনেশনের উপর সমস্ত জোর দিচ্ছেন ঠিক সেই সময়ই সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ রাখতে গিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন।

ভ্যাক্সিনেশন নিয়ে প্রথমেই তিনি রাজ্য সরকারগুলিকে অর্থব্যয় থেকে মুক্তি দেন। তিনি বলেন, আর রাজ্য সরকারকে ভ্যাকসিনেশনের জন্য আলাদা করে খরচ করতে হবে না। রাজ্য সরকারগুলি এখনো পর্যন্ত ভ্যাক্সিনেশন নিয়ে যে পদক্ষেপ নিয়েছে তার জন্য তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি জানান এবার থেকে ১৮ বছরের বেশি সকলকেই বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রের।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা অনুযায়ী ইতিমধ্যেই দেশে প্রায় ২৩ কোটি মানুষের ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। এই সকল নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারগুলি চার ভাগের এক ভাগ কাজ করেছে। তবে আগামী দিনে বাকি সমস্ত নাগরিকের বিনামূল্যে ভ্যাকসিনেশন করানোর কাজ করবে কেন্দ্র। এনিয়ে আগামী দিনে রাজ্য সরকারগুলির সাথে আলোচনা করে একটি রূপরেখা তৈরি করে নেওয়া হবে। আগামী ২১ জুন থেকে দেশজুড়ে সকলকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করে দেবে কেন্দ্র। দেশে উৎপাদিত ৭৫% ভ্যাকসিন কিনবে কেন্দ্র সরকার।

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি বলেন, “১৬ জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত টিকাকরণ মূলত কেন্দ্রের হাতেই ছিল। দেশ বিনামূল্যে টিকাকরণের দিকেই এগোচ্ছিল। কিন্তু তারপর অনেক রাজ্য টিকাকরণ নিজেদের হাতে নিতে চেয়েছিল। স্বাস্থ্য যেহেতু মূলত রাজ্য সরকারের ব্যাপার, সেহেতু কেন্দ্র রাজ্যের হাতে টিকাকরণের দায়িত্বভার তুলে দেয়। কিন্তু পরে অনেক রাজ্য উপলব্ধি করে আগের প্রক্রিয়ায় ঠিক ছিল। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই কেন্দ্র আগের মতোই সমস্ত নাগরিকের টিকাকরণের দায়িত্ব নিলো।”