PM Vishwakarma Yojana Loan of Rs 3 lakh without any guarantee: মোদি সরকার বরাবর জনগণের সুবিধার জন্য নানারকম জনকল্যাণমূলক প্রকল্প নিয়ে এসেছে। সাধারণ মানুষকে পাকা বাড়ির সুবিধা দেওয়া থেকে শুরু করে ব্যবসায় উন্নতি করার জন্য নানারকম প্রকল্প চালু আছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সতেরই সেপ্টেম্বর এমনই একটি প্রকল্প চালু করেছে যার দ্বারা উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ। যারা পেশায় কারিগর তারা এই প্রকল্পের আওতায় আসলে নানাভাবে উপকৃত হতে পারবে। তাহলে দেরি না করে চলুন জেনে নেই প্রকল্পটির (PM Vishwakarma Yojana) সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।
মোদী সরকারের জনপ্রিয় এই স্কিম হল পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা (PM Vishwakarma Yojana)। কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পের আওতায় পিএম বিশ্বকর্মা শংসাপত্র এবং আইডি কার্ডের মাধ্যমে কারিগরদের চিহ্নিত করা হবে। কেউ যদি পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার আওতায় আসতে চায়, তাহলে অবশ্যই তার এই যোজনার আইডি থাকা বাধ্যতামূলক। এই যোজনার আওতায় কারিগর ও মিস্ত্রিদের প্রত্যেকদিন ৫০০ টাকা ভাতা হিসেবে দেওয়ার সাথে কারিগরি প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।
যদি কেউ এই ১৮ টি পেশার সঙ্গে যুক্ত হয় তাহলে এই প্রকল্পের সুবিধা লাভ করতে পারবে। যেমন কাঠের মিস্ত্রি, নৌকা প্রস্তুতকারক, অস্ত্র প্রস্তুতকারক, কামার, হাতুড়ি, তালার কর্মচারী, স্বর্ণকার, কুমোর, ভাস্কর, পাথর ভাঙার কারিগর, মুচি/জুতার কারিগর, রাজমিস্ত্রি। পাশাপাশি, ঝুড়ি/মাদুর/ঝাড়ু প্রস্তুতকার, তাঁতি, পুতুল ও খেলনা প্রস্তুতকারক, নাপিত, মালা প্রস্তুতকারক, ধোপা, দর্জি এবং জেলেদেরকেও এই যোজনায় (PM Vishwakarma Yojana)অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কেউ যদি এই যোজনার (PM Vishwakarma Yojana) আওতায় থাকে তাহলে তারা অবশ্যই লোনের সুবিধা পাবেন তাও কোনো গ্যারান্টি লাগবেনা। যারা এর আওতায় থাকবে তারা সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবে। লোনের এই টাকা দুটি কিস্তিতে দেওয়া হবে। ১৮ মাসের মেয়াদে ১ লাখ ও ৩০ মাসের মেয়াদে ২ লাখ টাকা দেবে মোদী সরকার। মাত্র ৫ শতাংশ সুদের হারের বিনিময়ে। বিস্তারিত জানতে কোনও ব্যক্তিকে pmvishwakarma.gov.in-এ যেতে হবে। সমস্ত তথ্য জানতে কারিগররা 18002677777 নম্বরে বা pm-vishwakarma@dcmsme.gov.in-এ ইমেল করতে পারেন।
কিভাবে আবেদন করবেন এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য। একমাত্র যারা বিশেষ ১৮টি পেশার সঙ্গে যুক্ত তারাই এই স্কিমের সুবিধা নিতে পারবেন। আবেদনকারীর বয়স অবশ্যই ১৮ বছরের বেশি হতে হবে, কিন্তু যেনো ৫০ বছরের কম হয়। আবেদনকারীকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে এবং কোনও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে সংশ্লিষ্ট ট্রেডে সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এর পাশাপাশি বৈধ আধার কার্ড, প্যান কার্ড, আয়ের সার্টিফিকেট, কাস্ট সার্টিফিকেট, ঠিকানার প্রমাণপত্র, পাসপোর্ট – সাইজ এর ছবি, ব্যাঙ্ক পাশবুক ও মোবাইল নম্বর থাকা জরুরি।