হিমাদ্রি মন্ডল : নানান অজুহাতে লকডাউনকে অমান্য করে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন বহু মানুষ। আর সে কারণেই বীরভূমের সিউড়িতে লকডাউনকে পুরোপুরিভাবে কার্যকর করতে রাস্তায় নামলেন পুলিশ সুপার শ্যাম সিং। মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ বিভিন্ন পুলিশ আধিকারিকরা বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে বীরভূমের সিউড়ি সহ একাধিক গ্রামে লকডাউনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।
পাশাপাশি যে সমস্ত মানুষ লকডাউন ভেঙে বাড়ির বাইরে বের হয়েছেন তাদের আটক ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে বেশকিছু বাইক, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি দোকান। আটক করা হয়েছে বেশকিছু দোকানের মালিককে। সিউড়ি শহরের প্রধান রাস্তায় তৈরি করা হয়েছে ব্যারিকেট। যাতে কোনভাবেই সাধারণ মানুষ লকডাউনকে উপেক্ষা করে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে না পারেন। নির্দিষ্ট কারণ ও কাগজপত্র থাকলে তবেই মিলছে ছাড়পত্র।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমাল পাল জানান, “দিন কয়েক ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে বেশ কিছু মানুষ লকডাউনকে উপেক্ষা করে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন। যে কারণে আজ স্পেশাল ড্রাইভ নেওয়া হয়। আর এইরকম ড্রাইভ আগামীদিনেও চলবে। যারা কোনো কারণ ছাড়াই বাইরে বের হচ্ছেন তাদের অ্যারেস্ট করা হয়েছে। আজ এই ড্রাইভ সারা জেলা জুড়েই করা হয়েছে। এছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় বা অত্যাবশ্যকীয় দোকান ছাড়া যে দোকানগুলি খোলা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা। পাশাপাশি জেলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গাতে আরও কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ। যতদিন লকডাউন চলবে মানুষ যেন তা যথাযথভাবে পালন করেন সে জন্যই এই পদক্ষেপ।”
এছাড়াও বীরভূমের পার্শ্ববর্তী জেলা ও রাজ্যের বর্ডারগুলিকে ইতিমধ্যেই সিল করে দেওয়া হয়েছে যাতে করে কেউ অন্য রাজ্য বা অন্য জেলা থেকে প্রবেশ করতে না পারেন। তবে অত্যাবশ্যকীয় যানচলাচল অথবা জিনিসপত্র আদান-প্রদান জারি থাকবে। আগামী দিনে লকডাউনকে সম্পূর্ণভাবে সফল করতে আরও কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটবে পুলিশ বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, সকাল থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত মোট ৯৯ জনকে গ্রেপ্তার, ১১৪ টি বাইক/টোটো/ছোট গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গোটা জেলা জুড়ে। এছাড়াও অত্যাবশ্যক দ্রব্যাদি বাদেও যে সকল দোকান খোলা হয়েছিল অথবা মুখে মাস্ক কিংবা সমতুল্য কাপড় ছাড়া যে সমস্ত লোক রাস্তায় বেরিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।