Prasad Distribution System of Ramlala in Ayodhya’s Ram Temple as done: ভারতের হিন্দুদের কাছে রাম মন্দিরের গুরুত্ব অপরিসীম। এর সাথে জড়িয়ে আছে আলাদাই এক আবেগ ও ভক্তি। রামায়ণের রামচন্দ্র হিন্দুদের কাছে একজন আদর্শ পুত্র, রাজা এবং ভগবান। তাই তার মন্দিরের উদ্বোধন এর তোড়জোড় অবশ্যই হবে জোরকদমে। উত্তরপ্রদেশের সরকার তথা কেন্দ্রীয় সরকার উভয় এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু এখন জানতে হবে ভক্তরা কিভাবে দর্শন পাবেন রামলালার? কিভাবে পাবেন প্রসাদ (Ramlala Prasad Distribution System)?
এখন অযোধ্যা জুড়ে শুধুই রাম মন্দিরের উদ্বোধন এর তোড়জোড়। রাম মন্দিরের ফিনিশিং টাচ আর একটু বাকি। আগামী বছরের ২২ জানুয়ারির প্রস্তুতি নিয়ে দফায় দফায় চলছে বৈঠক, এই বৈঠক করছেন শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। আশা করা যাচ্ছে, উদ্বোধনের পর থেকেই অযোধ্যার রাম মন্দির দর্শনের হিড়িক বাড়বে। রামলালার প্রসাদ গ্রহণ করতে ভক্তরা ভিড় জমানো শুরু করবে অযোধ্যায়। কী ভাবে হবে রাম মন্দিরের প্রসাদ বিতরণ?
মন্দিরের ট্রাস্টি অনীল মিশ্র কি বলেছেন এই বিষয়ে? ভক্তরা কিন্তু রাম মন্দির দর্শনের পর সেই স্থান থেকে প্রসাদ গ্রহণ করতে পারবেন না। আসলে মন্দিরে থেকে বেরোনোর পর দর্শন মার্গে পরকোটা থেকে প্রসাদ নিতে হবে ভক্তদের। যাতে কোনরকম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় তাই দর্শনের লাইনে প্রসাদ বিতরণের বন্দোবস্ত (Ramlala Prasad Distribution System)করেনি কর্তৃপক্ষ। রামলালার দর্শন সেরে আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসার পর ভক্তরা প্রসাদ নিতে পারবে। প্রসাদ বিতরণের এত সুন্দর ব্যবস্থা করা হয়েছে শুধুমাত্র কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনাকে এড়ানোর জন্যই।
আরও পড়ুন ? পায়ে হেঁটে রাম মন্দির যাত্রায় ব্যাঘাত! দুর্ঘটনার কবলে মুর্শিদাবাদের বিশ্বম্ভর!
ভক্তরা খুব সহজেই ৩০ ফুট দূর থেকে দেখতে পারবেন রামলালাকে। পূর্ব দিক থেকে দর্শনের জন্য প্রবেশ করতে দেওয়া হবে দর্শকদের। তারপর ভক্তরা সিংহদ্বার থেকে এগিয়ে গেলেই রামলালার দর্শন পাবেন। রামলালার দর্শনের পর গোটা মন্দির ঘুরে আসতে পারবেন ভক্তরা। পিএফসি ভবনের সামনে থেকে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারবেন ভক্তরা। কিন্তু কোনো ভক্ত যদি কুবের টিলা যেয়ে চান সেক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হবে। দর্শন এবং প্রসাদ বিতরণের (Ramlala Prasad Distribution System) এত সুন্দর ব্যবস্থা সত্যি প্রশংসনীয়।
এমনকি ভক্তরা যাতে বিশ্রাম নিতে পারে তার জন্য বহুতলও প্রায় নির্মাণ হয়ে গিয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ভক্তদের জিনিসপত্র চেকিংয়ের জন্য স্ক্যানার মেশিন বসানোর কাজও তৈরি হয়ে যাবে। এছাড়াও, বিশ্রামাগারে ভক্তরা নিজেদের যাবতীয় লাগেজ রাখতে পারবেন নিশ্চিন্তেই। ব্যাগ, জুতো এই বিশ্রামাগারে খুলে ভিতরে প্রবেশের সুযোগ মিলবে রাম ভক্তদের।