নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই ৩৭০টি বেশি আসন দখল করবে এমনই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে। বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ এবার ৪০০ আসন পার করবে এমনই স্লোগান তুলতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি নেতা থেকে শুরু করে শরিকদের মুখে মুখে। তবে এই লক্ষ্য আদৌ পূরণ করা সম্ভব!
বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন লক্ষ্য বাস্তবায়িত করার জন্য বিজেপিকে সেই সকল রাজ্যেও ভালো ফলাফল করতে হবে যেগুলিতে এর আগের লোকসভা নির্বাচনগুলিতে তারা অনেক পিছিয়ে ছিল। বিজেপি বরাবর পিছিয়ে থাকার ক্ষেত্রে যে সকল রাজ্যের নাম উঠে আসে সেগুলির মধ্যে অন্যতম হলো পশ্চিমবঙ্গ সহ দক্ষিণের বেশ কিছু রাজ্য। এরকম ৭টি রাজ্যে এবার বিজেপি অপ্রত্যাশিত ফলাফল করবে বলেই মনে করছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।
৫৪৩ টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং কেরালাতেই রয়েছে ২০৪টি আসন। কিন্তু এই সকল সাতটি রাজ্য মিলিয়ে বিজেপি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৫০টি আসনও পায় নি। ২০১৯ সালে তারা পেয়েছিল মোট ৪৭টি আসন। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকেই ছিল ১৮টি। আবার যদি ২০১৪ সালের দিকে তাকানো যায় তাহলে দেখা যাবে, এই সাতটি রাজ্যে বিজেপি মোট পেয়েছিল ২৯টি আসন। তবে এই বছর লোকসভা নির্বাচনে এই ছবি পুরোপুরি ভাবে বদলে যাবে বলেই মনে করছেন প্রশান্ত কিশোর।
আরও পড়ুন ? Dilip Ghosh: কথায় কথায় ‘রগড়ে’ দেন! কীভাবে কেটেছে দিলীপ ঘোষের ছোটবেলা
ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর মনে করছেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতে অনেক বেশি লাভ করতে চলেছে। দক্ষিণ ভারতে বিজেপির ভোট ব্যাংক অনেক বেশি পুষ্ট হবে আগের তুলনায়। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপির ফলাফল অনেক ভালো হবে এমনটাই মনে করছেন তিনি। প্রশান্ত কিশোরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎবাণী এর আগে বহুবার অক্ষরে অক্ষরে মিলে যেতে দেখা গিয়েছে। যে কারণে তার এমন ভবিষ্যৎবাণী নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশান্ত কিশোরের কথা অনুযায়ী, বিরোধিতের কাছে বিজেপিকে থামানোর অনেক সুযোগ ছিল, কিন্তু তারা বারবার ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই সকল সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে তেলঙ্গানায় বিজেপি প্রথম অথবা দ্বিতীয় দল হিসাবে আবির্ভূত হতে পারে। উড়িষ্যায় বিজেপি এবার সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করবে বলেই তিনি মনে করছেন। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এক নম্বর দল হয়ে উঠতে পারে বলেও মনে করছেন প্রশান্ত কিশোর। যদিও তৃণমূল প্রশান্ত কিশোরের এই ভবিষ্যৎবাণীকে পাত্তা দিতে নারাজ এবং তাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বাংলার মানুষের মন এখনো পড়ে উঠতে পারেননি প্রশান্ত কিশোর।