The Prime Minister informed what will happen to the old parliament building: পুরনোর জিনিসের সাথে বরাবর জড়িয়ে থাকে বহু আবেগ ও স্মৃতি। ইতিহাসের পাতা ওল্টালে অনেক কিছুই চোখের সামনে ভেসে ওঠে। মঙ্গলবার থেকেই সংসদ ভবনের নতুন ঠিকানা হয়েছে। নতুন সংসদ ভবনেই বসছে অধিবেশন। পুরনো সংসদ ভবনের (Old Parliament Building) সাথে জড়িয়ে আছে নানা স্মৃতি। এখানেই পাশ হয়েছে একের পর এক আইন।স্বাধীন ভারতের রূপদান করতে এর ভূমিকা রয়েছে। এই সংবিধানেই গৃহীত হয়েছে ভারতের সংবিধান।
২৮ মে, ২০২৩-এ ভারতের নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১২,০০০ কোটি টাকা। নতুন সংসদ ভবনে আছে ৮৮৮ জনের আসন। রাজ্যসভার ৩০০ জনের বসার জায়গা রয়েছে। যৌথ অধিবেশনের জন্য ১ হাজার ২৮০ জনের বসার জায়গা রয়েছে। পুরনো সংসদ ভবনটি (Old Parliament Building) ১৯২৭ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে সংসদ কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। নতুন সংসদ ভবনে স্থানান্তরিত হওয়ার পর পুরনো সংসদ ভবনটির ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন যে পুরনো সংসদ ভবনটিকে (Old Parliament Building) কোনোভাবেই ভেঙে ফেলা হবে না। তিনি বলেছেন যে এটি একটি ঐতিহাসিক ভবন এবং এটিকে সংরক্ষণ করা হবে। তবে, এটি কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে, সে সম্পর্কে এখনও কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়নি।
কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে পুরনো সংসদ ভবনটিকে জাদুঘরে রূপান্তর করা যেতে পারে। এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে তুলে ধরতে পারে। অন্যরা মনে করেন যে পুরনো সংসদ ভবনটিকে একটি সংস্কৃতি কেন্দ্র বা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা যেতে পারে। পুরনো সংসদ ভবনের (Old Parliament Building)বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। ব্রিটিশ স্থপতি স্যার এইউন লুটিয়েন্স ও হারবার্ট বেকার পুরনো সংসদভবনের নকশা করেছিলেন। ভারতের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও দেশের স্বাধীনতার স্বাক্ষী থেকেছে এই ভবনটি। দেশের উত্থানের অন্যতম সাক্ষী এই সংসদ ভবন।
২০২১ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী হরদ্বীপ সিং পুরী রাজ্যসভায় পুরনো সংসদ ভবনের পরিকাঠামো মেরামত করার কথা বলেছিলেন। এটিকে ব্যবহার করা হবে বিকল্প ব্যবহারের জন্য। জাতীয় আর্কাইভটি সরিয়ে নতুন ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। ১৯২৭ সালে পুরনো সংসদ ভবনটির উদ্বোধন করেন বড়লাট লর্ড আরউইন। তখন এর নাম ছিল ‘কাউন্সিল হাউস’। স্বাধীনতার পরে কাউন্সিল হাউসেরই নাম রাখা হয় সংসদ ভবন। প্রধানমন্ত্রী বিদায়কালে পুরনো সংসদ ভবনের মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে চাননি। এটিকে শুধু পুরনো সংসদ ভবন হিসেবে ফেলে রাখা উচিত নয়। তিনি আবেদন করেন সকলে একমত থাকলে এটিকে ‘গণপরিষদ’ হিসেবে পরিচিত করতে হবে। এরসাথে জড়িয়ে আছে বহু মহাপুরুষের নাম এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এটি হলো একটি উপহার।