করোনা বৈঠকে চটলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন কেজরিওয়াল

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের করোনা পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত ভ’য়ঙ্কর রূপ নিতে থাকায় শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় একাধিক মন্ত্রী এবং ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসকদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। এই বৈঠক ছিল ভার্চুয়াল বৈঠক। আর এই বৈঠক চলাকালীন রীতি বিরোধী পদক্ষেপ নেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। যে ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষুব্ধ হন এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়ে নেন।

ভার্চুয়াল বৈঠক চলাকালীন ঠিক কী ঘটেছিল? বৈঠক চলাকালীন সেই বৈঠক সরাসরি সম্প্রচার করছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর এই ঘটনায় গোপনীয়তা ভঙ্গে ক্ষুব্ধ হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা রীতি বিরোধী’। তবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের পরেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল ‘ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবো’ এমনটা বলে ক্ষমা চেয়ে নেন।

বৈঠক চলাকালীন অরবিন্দ কেজরিওয়াল যখন বক্তব্য রাখছিলেন এবং বলছিলেন, “আমার বিশ্বাস, কোভিড নিয়ন্ত্রণে জাতীয় পরিকল্পনা রয়েছে। তাহলে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র যৌথভাবে সেই অভিমুখে কাজ করতে পারে।” ঠিক তখনই তাকে থামিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যা হচ্ছে এটা আমাদের রীতি বিরোধী। একজন মুখ্যমন্ত্রী আমাদের ইন হাউস মিটিং সরাসরি সম্প্রচার করছেন। যা প্রটোকল বিরোধী। এটা ঠিক নয়, আমাদের সংযত থাকা দরকার।”

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিষয়টি বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি বলেন, “ঠিক আছে স্যার। ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবো।” এর পাশাপাশি তিনি বলেন, “করোনার কারণে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের আত্মার যেন শান্তি মিলে। তাদের পরিবারগুলি যেন এই শোক সহ্য করার ক্ষমতা অর্জন করে। আমার তরফ থেকে কোন ভুল হয়ে থাকলে অথবা অসংযত আচরণ হলে আমি ক্ষমা চাইছি। আপনার নির্দেশ মেনে চলবো।”

[aaroporuntag]
অন্যদিকে এই ঘটনার পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, এই ধরনের মিটিং সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না এমনটা লিখিত অথবা মৌখিকভাবে কোথাও বলা হয়নি। যে কারণে এমনটা করা হয়েছিল। তবে কোন ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা প্রার্থী।