Where is India’s profit if crude oil is bought in Indian currency instead of dollars: আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় মুদ্রা নিজের আধিপত্য বিস্তার করেছে ইতিমধ্যেই। এবার থেকে টাকা দিয়ে লেনদেন করা হবে আন্তর্জাতিক বাজারে। এতে ভারতীয় টাকার গুরুত্ব বাড়বে এবং দেশের আর্থিক খরচ কমবে। বন্ধ হবে ডলারের একচেটিয়া রাজত্ব। সেই জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কাছ থেকে অপরিশোধিত তেল (crude oil) কিনেছে ডলারে নয় টাকায়। এটি ভারতের একটি বড় পদক্ষেপ এবং এর দ্বারা ভারতীয় মুদ্রা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক লেনদেনের মাধ্যম হিসাবে গড়ে উঠবে।
ডলারের বদলে যদি আর্থিক লেনদেন হয় টাকার মাধ্যমে তাহলে কোথায় লাভ হবে এই দেশের? গত বছরের জুলাই মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অনুমতি দিয়েছিল টাকার মাধ্যমে আমদানী-রফতানিতে লেনদেন করার। রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত এরইমধ্যে সস্তায় তেল (crude oil) কিনেছে ভারতীয় মূল্যে। অন্যান্য ব্যবসাতে টাকার ব্যবহার হলেও তেলের ক্ষেত্রে যা সত্যি ব্যয়বহুল।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ভারত, গত জুলাইতে হওয়া এই বৈঠকে ভারতীয় মুদ্রায় লেনদেনের সম্মতি জানানো হয়। ভারত এখনো বিশ্ব বাজারে তৃতীয় বৃহত্তম শক্তি আমদানিকারক দেশ। জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে তাকে নির্ভর করতে হয় বিদেশের বিভিন্ন দেশের উপর। যেখানে ৮৫ শতাংশেরও বেশি জ্বালানি ভারত আমদানি করে বিদেশ থেকে তাই খরচ কমানোর বহুমুখী কৌশল অবলম্বন করা হয়। যেমন যেই দেশ সব থেকে সস্তায় তেল বিক্রি করছে সেখান থেকে অপরিচিত তেল ক্রয় করা এবং সরবরাহকারীদের থেকে তেল নেওয়া এইসব বিভিন্ন ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করেছে। সস্তায় রাশিয়ার কাছ থেকে তেল (crude oil) কিনেও বহু ডলার বাঁচিয়েছে ভারত।
বিভিন্ন তেল (crude oil) রফতানিকারক দেশগুলি কিন্তু টাকাকে তাদের লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করতে দ্বিধা প্রকাশ করেছে। এমনকি তেল রফতানিকারক দেশগুলি টাকায় লেনদেনে খরচ বেশি হবে বলে উদ্বেগ করেছে। এই তথ্য সম্প্রচার করা হয়েছে ভারতের তেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকেই। এই তথ্য দেওয়া হয়েছিল এক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে।
ভারতীয় মুদ্রাকে বিশ্ববাজারে লেনদেনের মাধ্যম করতে পারলে ভারতীয়দের জন্য ব্যবসার পথ হবে আরও প্রশস্ত। ভারত তার ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ২৩ কোটি ২৭ লক্ষ টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করার জন্য ১৫৭.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিল। কারণ টাকাকে যদি ডলারের রূপান্তর করে ব্যবসা করা হয় তা ভারতের অর্থনীতির পক্ষে অনেকটাই চাপের সৃষ্টি করে। এছাড়া ভারতীয় মুদ্রার গুরুত্ব আন্তর্জাতিক বাজারে আরও বৃদ্ধি পাবে।