Amul sweet yogurt: বিক্রি করা যাবে না আমূলের বিশেষ এই মিষ্টি দই! করলে কড়া শাস্তি!

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : আমূলের মিষ্টি দই (Amul sweet yogurt) খেয়ে থাকেন? হামেশাই বাড়িতে নিয়ে আসেন বহুজাতিক এই সংস্থার মিষ্টি দই? তাহলে আপনাকে প্রশাসনের নতুন এই বিজ্ঞপ্তি জানতেই হবে। কেননা প্রশাসনের তরফ থেকে এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, যে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সংস্থার বিশেষ ব্যাচ নম্বরের মিষ্টি দই আর বিক্রি করা যাবে না। এমনকি যদি কোন ব্যবসায়ী প্রশাসনের এই নির্দেশ অমান্য করে তা বিক্রি করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

বহুজাতিক সংস্থা আমূলের বিশেষ ব্যাচ নম্বরের ওই মিষ্টি দই বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে পূর্ব বর্ধমানের স্বাস্থ্য দপ্তর। গত ৮ জনুয়ারি ২০২৪ এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে। যেখানে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে, নির্দিষ্ট ব্যাচ নম্বরের ওই মিষ্টি দই কোনভাবেই বিক্রি করতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের এই নির্দেশিকা অমান্য করে যদি কেউ তা বিক্রি করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এখন প্রশ্ন হল, কেন পূর্ব বর্ধমানের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হল? পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে কোন ব্যাচ নম্বরের আমূলের মিষ্টি দই বিক্রি করা যাবে না এবং তা কিনলে আপনাদেরও ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে? কারণের কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় বিষক্রিয়া। মূলত সংক্রমণ ছড়ানোর কারণেই পূর্ব বর্ধমানের স্বাস্থ্য দপ্তর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

আরও পড়ুন 👉 Nabadwip Lal Doi: নবদ্বীপের দই কিনতে গিয়ে কোনোভাবেই ঠকবেন না! যদি জানা থাকে এই টিপস

সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ও রায়না এলাকায় একটি শ্রাদ্ধ বাড়ির খাবার খাওয়ার পর প্রায় দেড়শ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রত্যেকের মধ্যেই বমি ভাব সহ অন্যান্য নানান উপসর্গ দেখা দেয়। পূর্ব বর্ধমানের ওই দুটি এলাকা ছাড়াও বাঁকুড়াতেও একই ধরনের অসুস্থতার খবর সামনে আসে। এই ঘটনায় পূর্ব বর্ধমানের স্বাস্থ্য দপ্তর নমুনা সংগ্রহ করে এবং মেডিকেল টিম গঠন করে। যে মেডিকেল টিম জানতে পারে, দুই জায়গাতেই আমূলের মিষ্টি দই খাওয়ার পর এমন ঘটনা ঘটেছিল।

এরপর সন্দেহ থেকে ওই দইয়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই নমুনার মাইক্রোবায়োজিক্যাল টেস্টের পর ধরা পড়ে তাতে স্টেফাইলোকক্কাস অরাস নামে একটি ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি রয়েছে। সেখান থেকেই এমন অসুস্থতা হয় বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, ওই দই তৈরি করা হয়েছিল বাঁকুড়ার ইন্ডিয়ান ডেয়ারি প্রোডাক্টস লিমিটেডে। ওই দইয়ের ব্যাচ নম্বর হলো কেপিভি৩৬৫৩। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যাচ নম্বরের আমূলের মিষ্টি দই বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।