নিজস্ব প্রতিবেদন : আর বোধ হয় জল্পনার কোন জায়গা নেই। তিনি যে গেরুয়া শিবিরের নাম লেখাচ্ছেন তার সবথেকে বড় ইঙ্গিত মিললো শুক্রবার। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। তিনি অর্থাৎ রাজীব ব্যানার্জি অমিত শাহের বঙ্গ সফরের আগেই তৃণমূল ত্যাগ করলেন। আর বক্তব্য রাখার সময় বলেন, “কাজ করতে গেলে কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলে থাকতে হবে, আগামিকাল জানাবো”।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি গত সপ্তাহে মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। এরপর শুক্রবার প্রথমে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং পরে দলের সমস্ত রকম পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূল ত্যাগ করেন। মাস খানেক ধরেই তার বিজেপিতে যাওয়ার জল্পনা চলছিল, আর সেই জল্পনা স্পষ্ট হলো বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজীব ব্যানার্জি বলেন, “বিধায়ক পদ থেকে আজ আমি ইস্তাফা দিয়েছি। ডোমজুড় বিধানসভার মানুষের পাশে আমি থেকে সবসময় কাজ করে যাবো। আমি রাজনীতি করি মানুষের স্বার্থে। যে কারণে মানুষের সাথে বিশেষ করে বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে আমি আমার কাজ করে যাবো।”
পাশাপাশি তিনি বলেন, “সংসদীয় গণতন্ত্রে মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকতে হবে। নির্দল হয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রে বৃহত্তর মানুষের স্বার্থে কাজ করা যায় না। আর সেই জায়গা থেকে আমি আমার সিদ্ধান্ত আগামীকাল আপনাদের জানাবো।”
অর্থাৎ রাজীব বাবু যে তৃণমূলের সমস্ত পদ ছেড়ে দেওয়ার পর রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেবেন অথবা নির্দল বা কোনো নতুন দল গঠন করবেন এমনটা নয়। তিনি কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে চলেছেন। আর সেই দল যে বিজেপি এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
তাদের মতে এখন পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল বিজেপি। সুতরাং রাজীব বাবুর কোথায় যায় ইঙ্গিত মিলেছে তাতে তিনি গেরুয়া শিবিরে যাচ্ছেন তা আকারে ইঙ্গিতেই বুঝিয়ে দিয়েছেন।
পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা এটাও মনে করছেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রে যেমনটা হয়েছিল ঠিক সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও। শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের ক্ষেত্রে কি দেখা গিয়েছিল? বাংলায় অমিত শাহের সফরের ঠিক আগেই শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়েন, তারপর বিধায়ক পদ এবং সবশেষে দলের সমস্ত রকম পদ। সুতরাং এই সকল ঘটনা আর কিছু বলতে বাকি রাখছে না বলেই তারা মনে করছেন।