Raptee T30: ভারতে ইলেকট্রিক যানবাহনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে, এবং ই-বাইক ও ই-স্কুটার বাজারে ক্রমবর্ধমান চাহিদার মধ্যে চেন্নাই ভিত্তিক স্টার্টআপ Raptee.HV নিয়ে এলো তাদের প্রথম ই-বাইক Raptee T30। এই ই-বাইকটি (Raptee T30) ইতিমধ্যেই ইভি সেগমেন্টে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে এবং এর বুকিং শুরু হয়েছে মাত্র ১,০০০ টাকায়। এর চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্যগুলো এটিকে ইলেকট্রিক বাইক প্রেমীদের কাছে একটি অত্যন্ত কাঙ্ক্ষিত পছন্দ করে তুলেছে।
Raptee T30 এর অন্যতম আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো এর ২০০ কিমি দীর্ঘ রেঞ্জ, যা একবার সম্পূর্ণ চার্জে এতটা পথ পাড়ি দিতে সক্ষম। যারা প্রতিদিনের লম্বা রাস্তায় যাতায়াত করেন, তাদের জন্য এই বাইকটি এক কথায় অসাধারণ। এই বাইকটির মোটরশক্তি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে এটি 250cc থেকে 300cc মোটরসাইকেলের সমান শক্তি সরবরাহ করে, যা পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে কোনো আপস করে না।
এই বাইকটির আরেকটি বড় সুবিধা হলো এর অত্যাধুনিক চার্জিং সিস্টেম। CCS2 চার্জিং পাওয়ার সাপোর্ট সহ এই ই-বাইকটি খুব দ্রুত চার্জ হতে পারে, যা ইলেকট্রিক যানবাহনের জগতে এটি একটি অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছে। চার্জিংয়ের ঝামেলা না করেই এটি ব্যবহারকারীদের আরও কার্যকরভাবে চালানোর সুযোগ দেয়। বাইকটিতে IP67 রেটিং রয়েছে, যার মানে এটি জল এবং ধুলো থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত, যা এটি সব ধরনের আবহাওয়ায় ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে।
আরো পড়ুন: ইলেকট্রিক স্কুটার ঝকঝকে রাখতে চান, এই ৫টি গোপন টিপস মেনে চলুন, ব্যাটারি থাকবে সুরক্ষিত
মূল্য এবং ওয়ারেন্টির দিক থেকে, Raptee T30 এর এক্স-শোরুম মূল্য ২.৩৯ লক্ষ টাকা। তবে বুকিং শুরু হয়েছে মাত্র ১,০০০ টাকায়, যা ই-বাইক কেনার আগ্রহী গ্রাহকদের জন্য একটি বড় সুযোগ। এই বাইকের ব্যাটারিতে কোম্পানি দিচ্ছে ৮ বছরের বা ৮০,০০০ কিমি ওয়ারেন্টি, যা গ্রাহকদের দীর্ঘমেয়াদী নিশ্চিন্ততা প্রদান করছে এবং বাজারে এর প্রতিযোগিতা বাড়াচ্ছে।
Raptee T30 ই-বাইকটি শুধুমাত্র একটি পরিবেশবান্ধব যানবাহন নয়, এটি প্রযুক্তির উৎকর্ষতারও প্রতীক। এর দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ, দ্রুত চার্জিং সিস্টেম এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্স একে ইলেকট্রিক বাইক জগতে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। যারা ভবিষ্যতের যানবাহন খুঁজছেন, তাদের জন্য Raptee T30 হতে চলেছে এক পরম পছন্দ। Raptee T30 শুধু শহরের রাস্তায়ই নয়, দীর্ঘ দূরত্বের যাত্রায়ও আপনার নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে। ইলেকট্রিক বাইকের এই বিপ্লবী মডেলটি আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে মেলে পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি।