নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের অন্যান্য রাজ্য হোক অথবা পশ্চিমবঙ্গ, রেশন ব্যবস্থার (Ration) ওপর নির্ভর করে কোটি কোটি মানুষের অন্ন সংস্থান হয়ে থাকে। রেশন ব্যবস্থায় ভারতের ৮০ কোটির বেশি মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। এই সকল মানুষরা প্রতিমাসে কেন্দ্র অথবা রাজ্য সরকারের থেকে বিনামূল্যে অথবা স্বল্প মূল্যে চাল, ডাল, গম ইত্যাদি পেয়ে থাকেন। এমনকি আগে রেশন ব্যবস্থায় অল্প পরিমাণ টাকা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও কোভিড কাল থেকে তা উঠে গিয়েছে।
কোভিড কাল থেকে রেশন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসার ফলে বর্তমানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই চাল গম পাচ্ছেন দেশের ৮০ কোটির বেশি মানুষ। তবে আবার রেশন ব্যবস্থার এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক অসৎ ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করছেন। তাদের এই স্বার্থসিদ্ধির কারণে বহু দুঃস্থ-দরিদ্র মানুষ প্রতিনিয়ত ঠকছেন।
সাধারণ মানুষদের কথা মাথায় রেখে অর্থাৎ সাধারণ মানুষদের যাতে রেশন ডিলার অথবা অন্য কোন অসৎ ব্যবসায়ীরা ঠকাতে না পারেন তার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নতুন এক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন এই ব্যবস্থাই রাজ্যের রেশন উপভোক্তাদের রেশন কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা মোবাইল নম্বরে প্রতি মাসে মেসেজ পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় কি পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী পাবেন।
এছাড়াও রাজ্য সরকারের খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের তরফ থেকে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করে প্রতিমাসের প্রাপ্ত খাদ্য সামগ্রী পরিমাণ জানানো হয়। সেইমত ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জুলাই মাসে রাজ্যের রেশন উপভোক্তারা কি পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী পাবেন।
অন্ত্যোদয় অন্নযোজনা রেশনকার্ড (AAY) : প্রতিটি পরিবার পাবেন ২১ কেজি চাল, ১৩ কেজি ৩০০ গ্রাম আটা অথবা গম। এছাড়াও ১৩ টাকা ৫০ পয়সা কেজি দরে ১ কেজি চিনি দেবে সরকার।
অগ্রাধিকার প্রাপ্ত রেশনকার্ড (PHH) : PHH রেশন কার্ড যাদের রয়েছে তারা মাথাপিছু ৩ কেজি চাল, ১ কেজি ৯০০ গ্রাম আটা অথবা ২ কেজি গম পাবেন।
বিশেষ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত রেশনকার্ড (SPHH) : PHH রেশন কার্ডের মতো এই কার্ডেও সমান খাদ্যশস্য দেবে।
RKSY-1 : মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল পাওয়া যাবে।
RKSY-2 : এক্ষেত্রে কেবলমাত্র মাথাপিছু ২ কেজি করে চাল দেবে সরকার।