RBI has started repatriating its 100 tonnes of gold reserves from the UK to India: বিদেশে সোনা রাখার অভ্যাসটি ভারতের (RBI Gold Reserve) ১৯৯১ সালের অর্থনৈতিক সংকটের সময়কাল থেকে। সেই সময়, ভারত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে ৬৫ টন সোনা আন্তর্জাতিক ভল্টে রেখেছিল। ভারত পরবর্তীকালে, বৈশ্বিক আর্থিক বাজারে ব্যবসার সুবিধার জন্য এবং ব্যবসা-বন্ধু দেশগুলির কাছাকাছি হওয়ার কারণে কেনা সোনা বিদেশে, তথা প্রাথমিকভাবে লন্ডনে সংরক্ষণ করে রাখত। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০০৯ সালে, যখন IMF সোনা বিক্রি করেছিল, সেই সোনা থেকে ভারত ২০০ টন অধিগ্রহণ করেছিল এবং বিদেশী ভল্টে (লন্ডনে) সংরক্ষণ করে রেখেছিল।
যার কারণে এই বিপুল পরিমান সোনা রিজার্ভের (Indian Gold Reserve) প্রত্যাবর্তনের পরেও ভারতের GDP, কর সংগ্রহ, বা RBI-এর ব্যালেন্স শীটে এর কোন আর্থিক প্রভাব নেই। সোনার রিজার্ভ দেশে প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি কেবলমাত্র সোনার সঞ্চয় স্থানের পরিবর্তন মাত্র। এটি কোনভাবে দেশের সামগ্রিক আর্থিক পরিমাণকে প্রভাবিত করে না। সোনার এই সঞ্চয়ের স্থানান্তরের সাথে কোন শুল্ক বা জিএসটি জড়িত নেই, কারণ উক্ত সোনা ইতিমধ্যেই ভারতের মালিকানাধীন রয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) যুক্তরাজ্য থেকে তার ১০০ টন সোনার মজুদ ভারতে ফেরত পাঠানো শুরু করেছে। এ সোনা ফেরানোর বিষয়টি ১৯৯১ সালের পর প্রথম ঘটনা যে, RBI তার বিদেশী সোনার রিজার্ভের (Indian Gold Reserve) মজুদের একটি অংশ দেশীয় ভল্টে ফিরিয়ে নিয়ে আসছে। এই পদক্ষেপের আগে, RBI এর মালিকানাধীন মোট সোনার মধ্যে আনুমানিক ৫০০ টন সোনা বিদেশে এবং ৩০০ টন ভারতের মধ্যে মজুদ রাখা ছিল। তবে এই ১০০ টন সোনা ফেরত আনার সাথে সাথে, সোনার মজুদের বণ্টন এখন দেশে ও বিদেশে ৫০-৫০ হিসাবে থাকবে। অর্থাৎ ভারতের মজুদ ৮০০ টন সোনার মধ্যে দেশে এবং বিদেশে প্রতি ক্ষেত্রেই ৪০০ টন করে রয়েছে।
আরও পড়ুন ? Bonus of RBI: লটারি লাগতে চলেছে কেন্দ্রের! RBI-এর বড় পদক্ষেপে আসতে চলেছে ১ লক্ষ কোটি টাকা
বাজারের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরো বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট জল্পনা-কল্পনা চলছিল। বিশেষ করে বিষয়টি এমন সময় ঘটল যখন রাশিয়ার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাতিল বলে ঘোষণা করেছে। একটা মহলের অনুমান ছিল যে ভারতের সোনা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করতে পারে।
যাইহোক, RBI এই সংবাদ সূত্রগুলিকে তেমন একটা আমল দেয়নি। তারা পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দেয় যে এই পদক্ষেপের পিছনে প্রাথমিক উদ্দেশ্য যৌক্তিক এবং কৌশলগত, কোন রকম ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিচার করা হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার সোনা রিজার্ভের একটি অংশ বিদেশে রাখার কারণ হিসেবে সোনার অদলবদল এবং বাণিজ্যের মতো উদ্দেশ্যেগুলিকে হাইলাইট করেছে। যদিও কত সোনা বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হবে সে বিষয়ে সরকারীভাবে কোন সংখ্যা প্রদান করা হয়নি। তবুও RBI-এর ইঙ্গিতে স্পষ্ট যে ভবিষ্যতে আরও সোনা বিদেশি ভল্ট থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া ছালিয় যাওয়া হবে। সোনা রিজার্ভের সুনির্দিষ্ট ন্যূনতম কত শতাংশ বিদেশে রাখা হবে তা এখনও অনিশ্চিত, তবে এটা স্পষ্ট যে মোট সোনা রিজার্ভের (RBI Gold Reserve) একটি বড় অংশ সময়ের সাথে সাথে ভারতে ফেরত পাঠানো শোনা।