নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের বহু মানুষ রয়েছেন যাদের কোনো না কোনো স্বপ্ন রয়েছে। তবে পকেটে টাকা না থাকার কারণে তারা তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য ব্যাংক থেকে লোন (Bank Loan) নিয়ে থাকেন। সেই ব্যাংক লোন দিয়ে ঋণগ্রহীতারা বাড়ি-গাড়ি সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র করে থাকেন। ব্যাংক লোন যেমন দেশের ঋণগ্রহীতাদের বিভিন্ন দিক দিয়ে সাহায্য করে, ঠিক সেই রকমই আবার এই ব্যাংক লোন মাঝে মাঝেই ঋণগ্রহীতাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ব্যাংক লোন ঋণগ্রহীতাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখন, যখন ঋণের উপর সুদের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) রেপোরেট (Repo Rate) বৃদ্ধি করলেই ব্যাংক লোনের উপর সুদের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর তখনই ঋণগ্রহীতারা অসুবিধায় পড়েন। কেননা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা যায়, ঋণগ্রহীতাদের আয় সেই আগের মতই সীমাবদ্ধ, অথচ ঋণের উপর সুদের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে খরচ বেড়ে যায়।
পুজোর আগে এমনই এক মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ঋণগ্রহীতাদের কাছে। কেননা গত কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, পুজোর আগে নতুন করে reporate নির্ধারণ করা হতে পারে। গত কয়েক মাসে যেভাবে ধারাবাহিক ভাবে রেপো রেট নির্ধারণ করার সময় তা বৃদ্ধি করা হয়েছিল, কানাঘুষো খবর ছিল এবারও তা বৃদ্ধি করা হতে পারে। তবে এই জায়গায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবার স্বস্তি দিয়েছে।
কেননা শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ জানিয়েছেন, রেপো রেট অপরিবর্তিত থাকছে। reporate অপরিবর্তিত থাকার ফলে আর পূজোর আগে লোনের উপর সুদের পরিমাণ অথবা ইএমআই বৃদ্ধি পাবে না। মনিটারি পলিসি কমিটির বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শক্তিকান্ত দাশ। তবে এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, এই নিয়ে শেষ চারবার রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
শক্তিকান্ত দাশ জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যবৃদ্ধি বেশ কিছুটা কমেছে। তবে এখনই অনিশ্চয়তার মেঘ কাটেনি। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার রেপোরেট ৬.৫% অপরিবর্তিত রাখা হলো। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, চলতি অর্থ বর্ষে খুচরো অর্থাৎ রিটেল মূল্যবৃদ্ধি ৫.৪ শতাংশ হতে পারে এবং আগামী অর্থ বর্ষে তা কমে ৫.২ শতাংশ হতে পারে।