বাংলায় নতুন ৭ জেলা, হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত, হয়েছে একাধিক কারণ

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : এসএসসি দুর্নীতি কান্ডে যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সরগরম রাজ্য, ঠিক সেই সময় রাজ্যের নতুন ৭টি জেলার ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘রাজ্যে আরও নতুন ৭টি জেলা হচ্ছে।’

Advertisements

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন যে সাতটি জেলার ঘোষণা করেন সেই সাতটি জেলা হলো ১) সুন্দরবন জেলা (দক্ষিণ ২৪ পরগনা), ২)ইছামতী জেলা-বনগাঁ সাব ডিভিশন (উত্তর ২৪ পরগনা), ৩) বসিরহাট ( চূড়ান্ত নামকরণ পরে হবে), ৪) রাণাঘাট (নদিয়া), ৫) বিষ্ণুপুর (বাঁকুড়া), ৬) বহরমপুর এবং ৭) কান্দি (মুর্শিদাবাদ)। তবে প্রশ্ন হল হঠাৎ কেন নতুন এই সাতটি জেলার ঘোষণা করা হলো?

Advertisements

এই প্রসঙ্গে প্রতিবেশী দুই রাজ্য ওড়িশা এবং বিহারের কথায় আসা যাক। এই দুটি রাজ্যেই লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় অনেক কম কিন্তু জেলার সংখ্যা অনেক বেশি। পশ্চিমবঙ্গে ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। নতুন জেলা ঘোষণার পর এই ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের নিরিখে জেলার সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৩০।

Advertisements

ওড়িশায় লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গের অর্ধেক অর্থাৎ ২১। কিন্তু সেখানে জেলার সংখ্যা ৩০। আবার বিহারের দিকে নজর রাখলে দেখা যাবে সেখানে লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যা ৪০। বিহারের এই লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যা পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় দুটি কম। কিন্তু সেখানে জেলার সংখ্যা ৩৮।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, জেলার সংখ্যা বৃদ্ধি করার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের মূল লক্ষ্য হলো, রাজ্যের আয় বৃদ্ধি করা। নতুন জেলা তৈরি হলে সেই সকল জেলার জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিতে আলাদা করে টাকা মিলবে। এর ফলে পরিকাঠামোগত দিক দিয়েও এবং উন্নয়ন, বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের দেওয়া টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে রাজ্য সরকার মনে করছে, রাজ্যে জেলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে প্রশাসনিক কাজে গতি আসবে এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সহজে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে।

Advertisements