As a result of reduction in inflation rate, there will be relief in the price of food from vegetables: মুদ্রাস্ফিতির (Inflation Rate) বৃদ্ধির কারণে, সাধারণ মানুষের পকেটে টান পড়তে শুরু করেছে। ২০২৪ এর মার্চ মাসে মুদ্রাস্ফিতির হার ছিল ৪.৮৫ শতাংশ। এপ্রিলে মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৭০ শতাংশ থেকে ৫.১০ শতাংশের মধ্যেই থাকবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। খুব কম সংখ্যক বিশেষজ্ঞদের মতে এপ্রিল মাসে খুচরা মুদ্রাস্ফীতির (Inflation Rate) হার ৫% কমতে পারে। নতুন আর্থিক বছরের মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করা হবে মে মাসে।
এক বিশেষজ্ঞ জানান মার্চ মাস থেকেই খাদ্যদ্রব্যের দাম অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। গরমকাল আসলেই পচন মৃলক খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে যায়। বিশেষ করে সবজি ও ফলের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়। তবে এ বছর স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এবং তাতেই কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে। বৃষ্টিপাত হলে খাদ্যদ্রব্যের দাম কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে সোনা ও জ্বালানির দাম কতটা রয়েছে তার উপর ভিত্তি করে বলা সম্ভব, মুদ্রাস্ফিতির (Inflation Rate) হার বাড়বে না কমবে? আন্তর্জাতিক বাজারে যদি এই সমস্ত জিনিসের দাম বেড়ে যায়, তাহলে খুচরা মুদ্রাস্ফীতির হারও বেড়ে যাবে। মুদ্রাস্ফীতিকে মূলত ২ টি ভাগে ভাগ করা যায়। খুচরা মুদ্রাস্ফীতির হার নির্ভর করে সাধারণ মানুষ দ্বারা প্রদত্ত অর্থের মূল্যের উপর। খুচরো মুদ্রাস্ফিতিকে উপভোক্তা সূচকও বলা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন ? Post office new rules: বন্ধ হয়ে যাবে পোস্ট অফিসে টাকা জমা-তোলা! নতুন নিয়মে এই জিনিসটি লাগবেই
তুলনামূলকভাবে মুদ্রাস্ফীতির হার (Inflation Rate) একটু হলেও কমেছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৫.৯%। এবং মার্চ মাসে মুদ্রাস্ফীতির হারছিল ৪.৮৫%। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় মার্চ মাসে ০.২৪ শতাংশ কমেছে মুদ্রাস্ফীতির হার। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৫.৬৬ শতাংশ। ২৪ এর মার্চ মাসে মুদ্রাস্ফিতির হার ৯ মাসের মধ্যে সবথেকে কম হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের এপ্রিল মাস থেকে মুদ্রাস্ফিতির হার কমতে শুরু করলে, আরবিআই এর জন্য স্বস্তির খবর বয়ে নিয়ে আসবে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সবসময় মুদ্রাস্ফীতির হার (Inflation Rate) ৪ শতাংশের মধ্যেই রাখতে চায়। ক্ষুদ্র মুদ্রাস্ফিতির হার কমলো না বাড়লো তার উপর ভিত্তি করে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে রেপো রেট নির্ধারণ করা হয়। অর্থাৎ খুচরা মুদ্রাস্ফীতির হার কম হলে রেপো রেট কম হবে। আবার খুচরা মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধি পেলে রেপো রেট বৃদ্ধি পাবে। রেপোরেট কম হলে গ্রাহকদের ইএমআই বাবদ কম অর্থ প্রদান করতে হবে ব্যাংক লোনের ক্ষেত্রে। অতএব মুদ্রাস্ফীতির হার কমলে শুধুমাত্র খাদ্যদ্রব্যের জন্য ব্যয়ের পরিমাণ নয়, ব্যাংকের ইএমআইও কম হতে পারে।