Prohibited Motorbikes: ভারতে এই ৪ মোটরবাইক চালানো নিষিদ্ধ! চালালেই পড়তে হবে আইনি গ্যাঁড়াকলে

Driving these 4 motorbikes is prohibited in India: গোটা বিশ্বজুড়ে মোটরবাইক বাজারে শীর্ষে রয়েছে ভারত। যার কেনা বেচা অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। ফলেই ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী মোটরবাইক কোম্পানিগুলি বিভিন্ন ধরনের মডেল বাজারে নিয়ে আসছে। তবে আইন অনুসারে ভারতীয় বাজারে সব মোটরবাইক চালানোর অনুমতি নেই। বেশ কিছু কারণেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই মোটরবাইক। এমন ৪ মোটরবাইক রয়েছে যে মোটরবাইক ভারতে চালালে কেস হয়ে যেতে পারে। সেই ব্যক্তিকে আইনের গ্যাঁড়াকলে পড়তে হতে পারে। তাই মোটরবাইক কেনার আগে বা চালানোর আগে জেনে নিন ভারতে কোন ৪ মোটরবাইক চালানো নিষিদ্ধ।

Hero Honda Karizma

ভারতে নিষিদ্ধ ৪ মোটরবাইকের (Prohibited Motorbikes) মধ্যে অন্যতম হলো হিরো হন্ডা কারিজমা। একসময় ভারতীয় বাজারে ভীষণ রমরমা ছিল এই মোটরবাইকের। লুক, পারফরম্যান্স সর্ব দিক থেকে ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় মোটরবাইক হয়ে উঠেছিল এটা। কিন্তু হিরো হন্ডা আলাদা হয়ে যাওয়ায় এই মোটরবাইকের বাজারে কালো মেঘ ঘনিয়ে আসে। পাশাপাশি আর একটি কারণ হলো এই মোটর বাইকের হাই পারফরম্যান্স। যা অনেক ভারতীয়ই নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। সেই কারণে দেশে হিরো হোন্ডা চালানো নিষিদ্ধ হয়ে পড়ে এবং এই বাইক আর নজরেই পড়ে না।

TVS Suzuki Shogun

দেশ থেকে উধাও হয়ে যাওয়া আরো একটি মোটরবাইক হল TVS Suzuki Shogun। যে গাড়ির ওজন ছিল ১০৪ কেজি। প্রতি ঘন্টায় গতিবেগ ছিল ১২০ কিমি ছিল। ১০৮.২ সিসির ইঞ্জিন। কার্যকারিতা ভালো হলেও এই মোটরবাইক হ্যান্ডেল করা অত্যন্ত দুষ্কর ছিল। মূলত ইয়ামাহা RX-100 -কে টেক্কা দিতে জয়েন্টে এই শগুন মডেল বাজারে আনে টিভিএস এবং সুজুকি। কিন্তু অপরদিকে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে RX 100-এর। যার ফলে বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় TVS Suzuki Shogun।

আরও পড়ুন 👉 Ultraviolette F99 e-Bike: ৩ সেকেন্ডে ০ থেকে ১০০! এসে গেল ভারতে তৈরি সবচেয়ে দ্রুততম ইলেক্ট্রিক মোটরবাইক

Yamaha RD350

ভারতে ব্যান হওয়া আরও একটি মোটরবাইক (Prohibited Motorbikes) হল Yamaha RD350। ১৯৮৩ সালে ভারতীয় বাজারে এই মোটরবাইক আনে ইয়ামাহা। যা সেই সময়ে ৩৫০ সিসি প্রিমিয়াম গাড়ি ছিল। সর্বোচ্চ গতি ছিল প্রতি ঘন্টায় ১৬০ কিমি। বিশেষত উচ্চ গতির কারণে ভারতে এই বাইক চালানো নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি এই বাইক নিয়ে রেসিং করে অনেক মৃত্যুর খবর সামনে আসত। যার কারণে এই বাইককে রেসিং ডেথ বা মানুষকে খেকো বাইক বলা হত। সেই কারণেই ভারতে ব্যান হয় ইয়ামাহার এই মডেল। যা একসময় রয়েল এনফিল্ড, রাজদূত, বুলেট বাইকগুলির সাথে টেক্কা দিত।

Bajaj Pulsar v1

হিরো হোন্ডাকে টক্কর দিতে ভারতীয় বাজারে বাজাজ নিয়ে আসে তার প্রথম প্রজন্ম। তবে এই গাড়ির ফুয়েল ট্যাংক অনুযায়ী চেহারা ক্রেতাদের নজর কাড়তে পারেনি। থলেই প্রথমদিকে জনপ্রিয়তা পেলেও হঠাৎ করে নেমে যায় এই বাইকের চাহিদা। কারণ সেই সময় ক্রেতাদের প্রথম এবং শেষ পছন্দ ছিল হিরো হন্ডা। যার ফলেই এই বাইক ভারতের বাজারে থেকে হারিয়ে যায়।