Ro-Ro Vessel: রবীন্দ্র ও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর চাপ কমাতে কি বিকল্প পরিকল্পনা, চালু হল রো-রো ভেসেল

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Ro-Ro Vessel: রাজ্য পরিবহন দফতরের সিদ্ধান্তে কমতে চলেছে কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে সংযোগকারী রবীন্দ্র সেতু এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর চাপ। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে বহু ভারি ভারি যানবাহন, তাই বিকল্প পথ হিসাবে ভাবা হয়েছে অন্য ভাবনা। পণ্যবাহী ভারী ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন যাতে খুব সহজেই গঙ্গা পারাপার করতে পারে তার জন্য চালু করা হয়েছে রো-রো ভেসেল। সোমবার শালিমার জেটিঘাটে একটি নতুন রো-রো ভেসেলের উদ্বোধন করেন পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।

Advertisements

সামনেই হল পৌষসংক্রান্তি, পৌষসংক্রান্তি মানেই গঙ্গাসাগর মেলা। রাজ্যের পরিবহন দপ্তর আপাতত গঙ্গাসাগর মেলার জন্য ব্যবহার করবে এই রো-রো ভেসেল (Ro-Ro Vessel)। রায়চক থেকে কুমড়োহাটি পর্যন্ত যানবাহন পারাপার করানো হবে এর মাধ্যমে।খুব সহজেই রো-রো ভেসেলে একসঙ্গে ৮টি ভারী ট্রাক ও ৫০ জন যাত্রী পারাপার করানো যাবে। ভবিষ্যতে এই রো-রো ভেসেল শালিমার থেকে গার্ডেনরিচ পর্যন্ত চালানো হবে। এজন্য ইতিমধ্যেই দু’টি জায়গায় জেটিঘাট তৈরির জন্য চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে।

Advertisements

পরিবহনমন্ত্রী এই বিষয়ে জানিয়েছেন যে, যত দিন যাচ্ছে হাওড়া ও কলকাতা সংযোগকারী দু’টি ব্রিজে যানবাহনের চাপ ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারণেই একাধিক রুটে জেটিঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ প্রয়োজন। তবে জেটিঘাট এবং ব্রিজ নির্মাণ করা খুবই সময় সাপেক্ষ বিষয়। আপাতত রো-রো ভেসেলের (Ro-Ro Vessel) মাধ্যমেই জল পরিবহনে গতি আনতে চাইছে দফতর।

Advertisements

আরও পড়ুন:Gour ExpressGour Express: রেলের উদ্যোগে খুশির খবর মালদায়, গৌড়ে আসছে অত্যাধুনিক এলএইচবি কোচ

পরিবহনমন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, আগামী দিনে ভেসেলের (Ro-Ro Vessel) পরিমাণ আরো বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। ১৯৯২ সালে চালু হয় ৮২৩ মিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় হুগলি সেতু। এই সেতুকে বিদ্যাসাগর সেতুও বলা হয়। এই সেতুটি হল কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে অন্যতম সংযোগকারী সেতু। প্রতিনিয়ত বহু গাড়ি চলাচল করছে এই সেতু দিয়ে। হাওড়া হয়ে কলকাতায় প্রবেশ করার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সাহায্য নেয় এই ব্রিজের। ঠিক তেমনই আবার কাজ শেষে কলকাতা হয়ে এই সেতু দিয়ে নিজের গন্তব্যেও পৌঁছে যান।

যদিও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বহু পুরনো এই সেতুর খারাপ অবস্থা ধরা পরেছিল। বর্তমানে এর সংস্কার কাজও হয়েছে। আবার, রবীন্দ্র সেতু গঙ্গাপারের দুই শহরের অন্যতম প্রধান সংযোগকারী। নিত্যদিন বহু মানুষ এই সেতু ব্যবহার ব্যবহার করেন চলাচল করার জন্য। সাধারণ মানুষের জন্য দুটি সেতুই খুবই প্রয়োজনীয়। তাই ভারী ভারী যান চলাচলের কারণে কোনভাবেই যাতে দুই সেতুর স্বাস্থ্যের ওপর কোন চাপ না পড়ে। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প ভাবনার উদ্যোগ।

Advertisements