Rohit Sharma: ‘হিরো সাজার দরকার নেই’, খেলার মাঠে সরফরাজকে ধমক রোহিতের

Rohit Sharma scolded Sarfraz on the field during the Test in Ranchi: খেলার মাঠে রোহিত শর্মার পদার্পণ মানেই ক্রিকেট প্রেমীদের মনে আলাদা উচ্ছাস তৈরি হয়। মাঠে ছক্কা হাঁকাতে তিনি যেমন সিদ্ধহস্ত, ঠিক তেমনি তার স্টাইল। তিনি দলের অধিনায়ক। তবে সাধারণ দলের খেলোয়াড় হিসাবেই হোক বা অধিনায়ক হিসেবে, সব সময় তার মুখে শোনা যায় মুম্বইয়ের সিগনেচার টাপোরি ভাষা। আবার তারই প্রমাণ মিলল রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) আচরণে। সরফরাজ খানের সঙ্গে এমনটাই করলেন অধিনায়ক রোহিত।

বর্তমানে দলে বিরাট কোহলি, কেএল রাহুল, জস্প্রীত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামিদের অনুপস্থিতির কারণে দলে যুক্ত হয়েছেন অনেক নতুন খেলোয়াড়। আর খেলার মাঠে একদিকে যখন নতুন খেলোয়াড়, ও অন্যদিকে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের মত শক্তিশালী দল, সেখানে অধিনায়কের ওপর বাড়তি চাপ যে থাকবেই। তবে এসব চাপ থাকলেও রোহিত শর্মা বরাবর থাকতে পছন্দ করেন ঠান্ডা মেজাজে। তবে এবার ঠান্ডা মেজাজের রোহিত (Rohit Sharma) মাঠে বেশ ধমক দিলেন সরফরাজ খানকে।

কিছুদিন আগে রাজকোট টেস্টে ভারতীয় ক্রিকেট দলে অভিষেক ঘটেছে সরফরাজের। এর পরেই তার বাবার সঙ্গে দেখা করেন দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। সারফারাজের বাবা ছেলেকে একটু দেখার জন্য অনুরোধ করেন রোহিতকে। রোহিত যে দলের প্রত্যেকের দিকেই সমানভাবে খেয়াল রাখেন তা তিনি আরো একবার প্রমাণ করে দিলেন রাঁচি টেস্টে। রাঁচি টেস্টের তৃতীয় দিনে ভারতের ফিল্ডিং চলাকালীন সিলি পয়েন্টে সরফরাজকে দাঁড়াতে বলেন অধিনায়ক। তবে এরপরই সরফরাজকে ধমক খেতে হয় রোহিত শর্মার কাছে।

আরও পড়ুন 👉 Rohit Sharma New Record: মহিলাদের থাকলেও পুরুষদের ছিল না, এবার সেই রেকর্ডটি গড়লেন রোহিত, নাম উঠলো ইতিহাসের পাতায়

আসলে সিলি পয়েন্ট খেলার মাঠে অন্যতম একটি বিপদজনক জায়গা। তাই সেখানে দাঁড়াতে গেলে অবশ্যই হেলমেট এবং প্যাড পরে নিজের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে তবেই দাঁড়াতে হয়। সরফরাজ সে সব কিছু না করেই সিলি পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। এসময় রোহিত রেগে গিয়ে সরফরাজ এর উদ্দেশ্যে বলেন ‘ওই, হিরো হতে হবে না তোকে।’ বকা খেয়েই সরফরাজ ডাগ আউট থেকে হেলমেট চেয়ে নেন এবং কেএস ভরত তার হেলমেট এনে দেন।

এরপর হেলমেট পরে খেলা শুরু করেন সরফরাজ। এভাবেই রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) সর্বদাই তরুণ খেলোয়াড়দের দিকে নজর রেখেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সরফরাজ খান রাজকোট টেস্টে দুটো ইনিংস খেলেন এবং সেখানে ৬২ ও ৬৮ রান করেন। তবে রাঁচি টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৪ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ০ রান করেন তিনি। অন্যদিকে ধ্রুব জুরেল রাজকোট টেস্টে এক ইনিংস ব্যাট করে ৪৬ রান করেন। তবে রাঁচি টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিনি ম্যাচ জেতানো ৯০ এর পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসেও অপরাজিত ৩৯ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।