নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণের জেরে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে বন্ধ স্কুল কলেজ। আর এই দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার কারণে রাজ্যের পড়ুয়াদের পড়াশোনা লাটে উঠেছে বলাই বাহুল্য। আর এমত অবস্থায় পড়ুয়াদের অনলাইনে পড়াশোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ সাড়ে ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে ট্যাব দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু এই বিপুলসংখ্যক ট্যাব জোগাড়ে সমস্যা হওয়ায় মমতা সরকারের তরফ থেকে নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
নবান্নে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যাব জোগাড় করার ক্ষেত্রে সমস্যার কথা জানান। আর তারপরেই তিনি নয়া ঘোষণায় জানান ওই সাড়ে ৯ লক্ষ পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার কথা। পাশাপাশি তিনি এটাও জানিয়ে দেন যে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যেই এই টাকা পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের সরকারি স্কুল এবং মাদ্রাসার প্রত্যেক পড়ুয়াকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সরকারের দাবী সেই টাকা দিয়ে পড়ুয়ারা নিজেদের ইচ্ছেমতো ট্যাব অথবা স্মার্টফোন কিনে নিতে পারবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথায়, সাড়ে ৯ লক্ষ পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়ার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু কোন সংস্থায় একসাথে এত সংখ্যক ট্যাব সরবরাহ করতে সক্ষম নয়। সব মিলিয়ে দেড় লক্ষ ট্যাব জোগাড় হচ্ছিল। অন্যদিকে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে চিনা ট্যাব কেনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই বিকল্প পথ হিসেবে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে এই ঘোষণার পরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানান বিতর্ক। ওয়াকিবহাল মহলের অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করছেন ওই টাকা পড়ুয়ারা পাবেন কিনা তা নিয়ে। আবার অনেকেই মনে করছেন পড়ুয়ারা ওই টাকায় স্মার্টফোন অথবা ট্যাব না কিনে অন্য কাজেও ব্যবহার করতে পারে।