ভারতের দেখাদেখি চন্দ্রাভিযান করতে গিয়ে বিপাকে রাশিয়া! প্রশ্নের মুখে লুনা-২৫

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের তৃতীয় চন্দ্রাভিযান চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) সফলভাবে উৎক্ষেপণ হয় গত ১৪ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরি কোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে। ইসরোর (ISRO) এই চন্দ্রাভিযান চাঁদে অবতরণ করবে ২৩ আগস্ট। এক্ষেত্রে পৃথিবী থেকে চাঁদে পৌঁছাতে চন্দ্রযান ৩ সময় নিচ্ছে প্রায় ৪০ দিন। ভারতের এই অভিযানের মাঝেই বিশ্বে তোলপাড় ফেলে দেয় রাশিয়া (Russia)। দীর্ঘ ৫০ বছর পর তারা গত ১১ আগস্ট ফের একবার চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোর জন্য উৎক্ষেপণ করে। তাদের সফল উৎক্ষেপণ হয় লুনা-২৫ (Luna 25)।

রাশিয়ার এই মহাকাশযান চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকেই বুধবার পৌঁছে যায় চাঁদের কক্ষপথে। তাদের কাছে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাগারের পরে উৎক্ষেপণ করেও চন্দ্রযান ৩ এর আগে চাঁদে পৌঁছানো। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জ নিতে গিয়েই এখন বিপদের মুখে পড়েছে রাশিয়ার ওই মহাকাশযান। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এমন বিপত্তি তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, লুনা ২৫ এর অন বোর্ড কম্পিউটারে একটি জরুরি অবস্থা দেখা দিয়েছে। আর এর ফলে রুশ মহাকাশযানটির ল্যান্ডার চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রযুক্তিগত কোন সংস্থার কারণে এমন ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে দেখছে রুশ মহাকাশ গবেষণাগার। তবে এর ফলে যে মিশন ব্যর্থ হবে এমন নয় অথবা এমনটা এখনই ভাবা হচ্ছে না।

রাশিয়ান স্পেস এজেন্সির তরফ থেকে লুনা-২৫ এর বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী চাঁদের মাটিতে অবতরণ করতে আরও কিছু সময় নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে চন্দ্রযান ৩ এর আগে রাশিয়ার মহাকাশযানটি চাঁদের মাটিতে অবতরণ করতে পারবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে রাশিয়ার মহাকাশ বিজ্ঞানীরা নিজেদের মধ্যে পর্যালোচনা করছেন। যদিও এই বিষয়ে রোসকসমস এখনো কিছু জানায়নি।

জানা যাচ্ছে, অবতরণের আগে চাঁদের কক্ষপথে স্থানান্তরিত করার সময় থ্রাস্টার ছোঁড়া হয়েছিল। কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তা সক্রিয় হয়নি। অন্যদিকে রাশিয়ার এই মহাকাশযান লুনা ২৫ এ অনবোর্ড কম্পিউটার ইন্সটল করা আছে। এর ফলে সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোন পথে যেতে হবে, কত উচ্চতায় যেতে হবে ইত্যাদি সবকিছু নির্বাচন করতে পারে। কিন্তু ওই অনবোর্ড কম্পিউটারেই সমস্যা দেখা যায়। তবে যদি রাশিয়ার এই মহাকাশযান লুনা-২৫ সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে তাহলে সেটি চাঁদের শিলা ও ধূলিকণার নমুনা সংগ্রহ করবে। চাঁদে বসবাসের আগে তার পরিবেশ বোঝার জন্য এই সকল নমুনা সংগ্রহ করা হবে।