নিজস্ব প্রতিবেদন : শনিবার সকালে জিম করার সময় হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতা বোধ করেন ভারতের প্রথম ক্রিকেট অধিনায়ক সবার প্রিয় দাদা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরেই হঠাৎ মাথা ঘোরা, ঝাপসা দেখা আর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ব্ল্যাকআউট। তড়িঘড়ি দাদাকে ভর্তি করা হয় আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানা যায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ব্ল্যাকআউট (চিকিৎসকদের ভাষায়) হয়েছে। চিকিৎসক এবং পরিবার সূত্রে আরও জানা যায় তারা হার্টে তিনটি ব্লকেজ রয়েছে। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে একটি ব্লকেজ ঠিক করার জন্য স্টেন বসানো হয়েছে।
মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ অসীম কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সাধারণত মস্তিষ্ক এবং হৃদপিন্ডে ঠিকভাবে অক্সিজেন সরবরাহ না হলে এমনটা হয়ে থাকে। সাধারণত হঠাৎ করেই এই ঘটনা ঘটে। আর এমনটা হলে প্রথমে ওই ব্যক্তির মাথা ঘোরে, ঝাপসা দেখেন এবং অজ্ঞান হয়ে যান। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে।
ডাঃ অসীম কুমার চক্রবর্তী এটাও জানিয়েছেন, ব্ল্যাকআউট হওয়া মানেই আতঙ্কের কারণ, তা নয়। অনেকক্ষেত্রে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে এমনটা হতে পারে। হাইপার গ্লাইসেমিয়া বা ডায়াবেটিস মেলিটাসের রোগী যারা রয়েছেন তাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গেলেও এমনটা হতে পারে।
ডাঃ অসীম কুমার চক্রবর্তী এও জানিয়েছেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মূলে নানান শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে। কার্ডিয়াক মায়োপ্যাথি, হৃদপেশিতে আঘাত, অক্সিজেন সরবরাহ কমে গেলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে। সাধারণত হৃৎপিণ্ডের ধমনীতে ব্লকেজ থাকলে বা ধমনির রক্তপ্রবাহে কোনো রকম বাধা প্রাপ্ত হলে, পাশাপাশি মস্তিষ্কে টিউমার অথবা অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে ব্যক্তি ব্ল্যাকআউট হতে পারেন।
তবে সকলের প্রিয় দাদা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এখন সুস্থ আছেন এবং কথা বলছেন। এই সুখবর জানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ে সানা। আর দাদার শারীরিক উন্নতির খবর পেয়েই কিছুটা হলেও স্বস্তির মুখ দেখছেন অনুরাগীরা। তবে তাঁকে এখন কয়েকটা দিন হাসপাতলেই থাকতে হবে এমনটা চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।