‘বাড়িতে থাকুন, সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলুন’, অনুরোধ শতাব্দী রায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সোমবার বিকাল পাঁচটা থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন। প্রথম দফায় এই লকডাউন ২৭ শে মার্চ পর্যন্ত চলার কথা বলা হয়। পরে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয় লকডাউন চলবে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত। এরপর আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় ঘোষণা করেন, “দেশজুড়ে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লকডাউন চলবে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ২১ দিন।” এত নির্দেশিকা, এত বিধি-নিষেধ কাদের জন্য? এই নির্দেশিকা বিধি-নিষেধ দেশের জন্য, দশের জন্য। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করতে এমন সিদ্ধান্ত কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের।

তবে এই দীর্ঘ সময়ে লকডাউনের কথা সাধারণ মানুষের মাথায় আসতেই চঞ্চল হয়ে উঠছেন। কিন্তু তা হলে চলবে না, যদি আমরা সুন্দর ভবিষ্যৎ দেখতে চাই তাহলে। চিকিৎসক থেকে গবেষকরা জানাচ্ছেন যেহেতু এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনরকম প্রতিষেধক বা ওষুধ বের হয়নি তাই এর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল লকডাউন, নিজেদের সামাজিকভাবে গুটিয়ে নেওয়া। আর এই লকডাউন মেনে চলার জন্য বারবার অনুরোধ করছেন সেলিব্রিটি থেকে নেতা-মন্ত্রীরা। ঠিক তেমনই বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী ভিডিও বার্তার মাধ্যমে লকডাউন ও সরকারি নির্দেশিকাকে মেনে চলার অনুরোধ জানান।

ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, “করোনা এমন একটা রোগ, যার জন্য ওষুধের থেকে বেশি দরকার যেন ছড়িয়ে না পড়ে। তাই অনুরোধ বাড়ি থেকে বেরোবেন না। সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলুন। এই মুহূর্তে আমরা যদি বাড়িতে থাকি তাহলে দেশকে বাঁচাতে পারবো, বিশ্বকে বাঁচাতে পারবো, নিজেকে বাঁচাতে পারবো। বিজ্ঞানীরা, গবেষকরা বলছেন, আমরা যদি বাড়িতে থেকে এই রোগকে ছড়িয়ে না দি তাহলে অনেকটাই কন্ট্রোলে আসছে বা আসবে। বাড়িতে থাকা জানি খুব কষ্ট, কিন্তু আজকের কষ্টটা মেনে নিলে আগামী দিনটিতে খুশি দেখতে পাবো। আর এখন এই কষ্টটা না মেনে নিলে ভবিষ্যতের কষ্টটা আরও বেশী কঠিন হবে। ভারতবর্ষের জনসংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। বিদেশে যেখানে এই ভাইরাস একজনের শরীর থেকে অন্য জনের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে একঘন্টা সময় লাগছে, সেখানে আমরা যদি এখন বাড়িতে না থাকি তাহলে ভারতে হয়তো এই ভাইরাস এক ঘন্টায় ১ লক্ষ মানুষকে সংক্রমিত করবে। সুতরাং ভালো থাকতে বাড়ি থেকে বের হবেন না।”