অবশেষে রাজ্যে এই দিন থেকে খুলছে স্কুলের দরজা, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাকালে প্রায় দু’বছর স্কুলের (School West Bengal) দরজা বন্ধ থাকার পর অবশেষে তা খুলতে চলেছে। অন্ততপক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Chief Minister Mamata Bandopadhyay) ঘোষণায় এমনটাই স্পষ্ট। শিলিগুড়িতে (Siliguri) উত্তরকন্যায় (Uttar kanya) প্রশাসনিক বৈঠক (Administrator Meeting) চলাকালীন তিনি স্কুল খোলার বিষয়ে ঘোষণা করলেন।

এমনিতেই পুজোর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন পুজোর পরেই খুলে দেওয়া হতে পারে স্কুলের দরজা। ইঙ্গিত মত রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের (School Board) নির্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে শুরু হয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ। তবে এই সকল একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও এ যাবৎ কারোর জানা ছিলনা কবে থেকে খুলবে স্কুলের দরজা। অবশেষে সোমবারই সেই উত্তর পাওয়া গেল।

এদিন বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে বলেন, “কালীপুজো, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো মিটলে ১৫ নভেম্বর থেকেই স্কুল খোলার বিষয়টিও দেখে নিন। তার আগে স্কুলগুলি পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করতে হবে।” পাশাপাশি তিনি এদিন দুয়ারের সরকার কর্মসূচি নিয়ে এই প্রশাসনিক বৈঠকেই জানান, “দুয়ারে সরকার শুরু হবে ১৫ তারিখের পর থেকে। তবে এবার শুধু মাত্র ভবানীপুর, মুর্শিদাবাদের দুই জায়গায় এই শিবির হবে। কারণ, ভোটের কারণে এই তিন জায়গায় দুয়ারে সরকার শিবির করা যায় নি।”

পুনরায় স্কুলের দরজা খোলার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “৪ তারিখে কালীপুজো। ৬ তারিখে ভাইফোঁটা। ১০ আর ১১ তারিখ ছট পুজো। ১৩ তারিখে জগদ্ধাত্রী পুজো। তোমাকে (মুখ্যসচিব) যা করতে হবে ১৫ তারিখ থেকে করতে হবে। স্কুল কলেজ খোলার ব্যাপারেও ১৫ তারিখ থেকেই করে দাও। তার আগে স্কুল কলেজগুলি পরিষ্কার করতে হবে। সেগুলিও মাথায় রাখতে হবে।”

দেশজুড়ে ধীরে ধীরে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্য পুনরায় স্কুল কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মতো বিভিন্ন রাজ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজের দরজা। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আজকের আগে পর্যন্ত পুনরায় স্কুল-কলেজের দরজা খুলে দেওয়ার মত পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস করতে পারেনি। তবে এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তবে আবার মুখ্যমন্ত্রী যখন স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিলেন সেই সময় রাজ্যের কলকাতা এবং শহরতলী ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য জেলাতে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। এমন পরিস্থিতিতে এই প্রশ্নও জাগছে, কালীপুজোর পর স্কুল খোলার পরিবেশ কতটা অনুকূল হবে তা নিয়েও!