Semiconductor Plant Kolkata: চিনের চিন্তা বাড়িয়ে কলকাতায় সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট তৈরি করবে মোদি সরকার, বাড়বে কর্মসংস্থান

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : সেমিকন্ডাক্টর জগতে একচ্ছত্র রাজ করে থাকা চিনের চিন্তা বাড়াচ্ছে ভারত। কেননা এই সেক্টরে এবার ভারত নিজেদের আধিপত্য তৈরি করার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট (Semiconductor Plant) তৈরি করতে চলেছে। রতন টাটাদের হাত ধরে অসমে সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট তৈরির বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যেই জানি, আর এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরে কলকাতায় সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট (Semiconductor Plant Kolkata) তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়ে গেল। এর ফলে বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ।

Advertisements

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন দিনের সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি চুক্তির কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরের প্রথম দিনে কোয়াড সম্মেলনে যোগ দেওয়ার ফাঁকেই জো বাইডেনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় এবং সেই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই বেশ কিছু বিষয়ে চীনের চিন্তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Advertisements

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে যে দুটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেই দুটি বিষয় হল mq9 বি প্রেডাটর ড্রোন চুক্তি এবং কলকাতায় সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট তৈরি করার চুক্তি। প্রথম চুক্তি অনুসারে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩১ টি জেনারেল অ্যাটোমিকস এমকিউ-৯বি ড্রোন কিনবে। যেগুলি ভারতীয় সেনার হাতে যাবে। আর এই সকল ড্রোন ভারতীয় সেনাকে আরও বেশি শক্তিশালী করে তুলবে। এই সকল ড্রোন ভারতীয় সেনার হাতে পৌঁছানো মানেই প্রতিবেশী শত্রু দেশগুলির চিন্তা বৃদ্ধি পাওয়া।

Advertisements

আরও পড়ুন : Semiconductor Hub: চীনের লাটাই রতন টাটার হাতে, সেমিকন্ডাক্টর হাব করতে টাটারা পেল ১৮৮ একর জমি

অন্যদিকে কলকাতায় যে সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট তৈরি করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা তৈরি হতে পারে ভারত সেমি, 3rdiTech ও ইউএস স্পেস ফোর্সের অংশীদারিত্বে। এর ফলে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলেই পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দিক দিয়ে বদল আসবে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে দেশের যেকোনো জায়গার মানুষদের।

তবে শুধু এই দুটি বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে এমন নয়। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুপার হারকিউলিস এয়ারক্রাফট কেনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় শান্তি ফেরানো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মোটের উপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তিন দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর ভারতের কাছে যতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ততটাই চিন্তার কারণ হতে চলেছে ভারত শত্রু দেশগুলির কাছে।

Advertisements