নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই অধিকারী পরিবারের সাথে তৃণমূলের সম্পর্ক ধীরে ধীরে তলানিতে ঠেকেছে। প্রথমেই ডানা ছাঁটা হয় শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুর। কাঁথি পৌরসভার প্রশাসকের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন।
এরপর প্রকাশ্য একটি জনসভায় তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ‘ওই বাড়িতে আরো কয়েকজন উপসর্গহীন রোগী রয়েছেন’। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই মন্তব্যের পরেই শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীকে দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের (DSDA) চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ঠিক তার পরদিন জেলা সভাপতির পদ ছিনিয়ে নেওয়া হয় শিশির অধিকারীর থেকে। তবে এই দুটি পদ হারানোর পরেও নিশ্চুপ ছিলেন শিশির অধিকারী। এরপর বৃহস্পতিবার তিনি একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন।
শিশির অধিকারী পদ হারানোর পর সর্বভারতীয় ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “এই যে বলা হচ্ছে মন্ত্রিত্ব মানে এনজয়। এর মানে কি? এখন মন্ত্রিত্ব মানেই কি ভোগ করা? সবাই ভোগবাদী হয়ে গেল। আমরা তো পরিষেবা দিয়েছি। নাওয়া খাওয়ার সময় ছিল না।”
এরপরেই প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি আপনি দল ছাড়ছেন? নাকি তৃণমূলেই থাকছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে শিশির অধিকারী ওই সংবাদ মাধ্যমকে সোজাসাপ্টা জানান, “এখনো তৃণমূলেই আছি। যা করার বলে করবো। আমি ভদ্রলোকের ছেলে। বলে করবো। বহু মানুষের কথা শুনতে হয় আমাদের। তবে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি আশ্চর্য লাগছে। কেন এলাম, কেন গেলাম বুঝতে পারছিনা। কেন এমন কথা বলা হচ্ছে তাও বুঝতে পারছি না। তবে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবো না।”
পাশাপাশি সর্বভারতীয় ওই সংবাদমাধ্যমের সাথে শিশির অধিকারীর সাক্ষাৎকারে এটুকু জানা গিয়েছে যে, শিশির অধিকারীর সাথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ কথা হয়েছিল যখন তিনি পূর্ব মেদিনীপুরে সভা করতে এসেছিলেন। তারপর আর তার সাথে কোন কথা হয়নি। শিশিরবাবুর ভোগ শব্দে আপত্তি রয়েছে এটাও জানা গিয়েছে। পাশাপাশি তিনি যে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিচ্ছেন না এই মন্তব্যে নতুন করে জল্পনা তৈরি হলো বলে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।