Migrant workers of Sundarbans returned with a bang: ‘কপালের ফের কেউ আটকাতে পারে না’ – কথাটি অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল সুন্দরবনের ১২ জন সংগ্রামীর জন্য। করমন্ডল এক্সপ্রেস এর ভয়াভয় দুর্ঘটনা যেন সকলের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তুলেছে। শিউরে উঠেছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষদর্শীরা। সকল যাত্রীরাই প্রাণ হাতে নিয়ে লড়াই করে গেছে। এমতোবস্থায় যশবন্ত হামসফর এক্সপ্রেসের (Yesvantpur Humsafar express) ১২ জন আদিবাসী যাত্রী নজির গড়ল নিজেদের অদ্ভুতভাবে প্রাণে বাঁচিয়ে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় করমন্ডল এক্সপ্রেস মালগাড়ির সাথে সংঘর্ষে সোজা গিয়ে পড়ে যশবন্ত হামসফর এক্সপ্রেসের (Yesvantpur Humsafar express) ওপর। কিছু বুঝে না ওঠার আগেই ট্রেনের বগিতে লাগে আগুন। যে বগিতে আগুন লেগেছিল সেই বগিতেই ছিল সুন্দরবনের ১২ জন বাসিন্দা।
সুন্দরবনের বিভিন্ন পরিবার থেকে এই ১২ জন সদস্য প্রতিবছরই তামিলনাড়ুতে পৌঁছোয়। তাদের তামিলনাড়ুত যাওয়ার প্রধান উদ্দেশ্যই হলো সেখানে গিয়ে ধান কাটা। আর সেখান থেকে উপার্জন করা। সেই উপার্জনের আশায় এই বছরও তার অন্যথা হয়নি। প্রতিবারই তামিলনাড়ু থেকে নিরাপদেই আবার সুন্দরবনে ফিরে আসেন তারা। তবে এই বছরটি তাদের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসে (Yesvantpur Humsafar express) করে শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন ফিরঠিলেন, সেই সময় বালেশ্বরের নিকটবর্তী বাহানাগ বাজারে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বগিতে আগুন লাগার সাথে সাথে ট্রেনে উল্টে যায়। এর ফলে তারা ট্রেনের ওই ছোট্ট জানালা দিয়ে বাইরে বেরোনোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। সেই চেষ্টা তাদের সফল হয়। তারা কোনোক্রমে জানালা দিয়ে ট্রেনের মাথায় উঠতে সক্ষম হন।
ট্রেনের মাথায় উঠে তারপর লাফ দিয়ে তারা ট্রেন থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করেন। ১২ জনের মধ্যে পাঠানখালি বিপ্রদাসপুর শম্ভুনগর এলাকার একজন মানুষ সুস্থভাবে ক্যানিংয়ে পৌঁছে যান। বাকি ৪ জন গুরুতরভাবে আহত হওয়ায় আপাতত উড়িষথার এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভয়াবহ দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে খেটে খাওয়া এই ১২ জন যে প্রাণে বেঁচে ফেরেন, সেটিই এক বিশাল বড় ব্যাপার হয়ে যায় সুন্দরবনবাসীর জন্য।