West Bengal Cabinet Meeting: কোর্ট থেকে ২০১০ এর পর থেকে ছাড় পাওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়ার প্রতিবাদে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অনিয়মিত কালের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। তবে ধীরে ধীরে আবারও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং একের পর এক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভা (West Bengal Cabinet Meeting) নবান্নে অনুষ্ঠিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ১০০ জন কর্মী নিয়োগের অনুমোদন। এই নিয়োগের মধ্যে ৫৭টি পদ থাকবে ‘কর্মবন্ধু’ হিসেবে। সরকারের এই পদক্ষেপটি বিভিন্ন দপ্তরে কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি করে, সরকারি সেবার মান উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
একজন কর্মবন্ধু পশ্চিমবঙ্গের একজন ক্ষণস্থায়ী সুইপার-কাম-মাথর। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ক্ষণস্থায়ী কর্মবন্ধুদের পদ বাড়ানোর আদেশ জারি করেঠে৷ এই চাকরিটি সাধারণত অস্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক। আবেদনকারীকে শারীরিক ও প্রযুক্তিগতভাবে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদনে সক্ষম হতে হবে। আবেদনকারীর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা মুলতুবি থাকলে চলবে না। শুধুমাত্র সেই প্রার্থীদের যারা যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করে এবং সঠিকভাবে আবেদনপত্র পূরণ করে তাদেরই ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হবে বলে নির্দেশ দেয় পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভা (West Bengal Cabinet Meeting)।
এছাড়াও, কৃষি প্রকল্পের উন্নয়নে রাজ্য সরকার ১৫০০ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ঋণটি নাবার্ড এবং রাজ্য সমবায় ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা হবে এবং রাজ্য সরকার জামিনদার হিসেবে দায়িত্ব নেবে। এটি কৃষকদের উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ হবে, যা দেশের কৃষি খাতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আরো পড়ুন: যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে নয়া কদম রাজ্য সরকারের, কোথায় কোথায় মিলবে এই নতুন পরিষেবা
পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভায় (West Bengal Cabinet Meeting) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষি দপ্তরকে সারের কালোবাজারির বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিভিন্ন জেলায় সারের কালোবাজারির অভিযোগগুলি প্রেক্ষাপটে, এই পদক্ষেপটি কৃষকদের সঠিক এবং সস্তা সারের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এ বিষয়ে জেলা কৃষি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আরো পড়ুন: জানলে অবাক হবেন শিয়ালদহ স্টেশনের অজানা ইতিহাস, ঠিক কোন কারণে নামকরণ হয় শিয়ালদহ?
সাইক্লোন পরিস্থিতির জন্য মন্ত্রিসভা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের তাদের নিজ নিজ এলাকায় প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে বিপদের আশঙ্কা থাকায়, মন্ত্রীরা নিজেদের দায়িত্ব বুঝতে পারছেন। এই প্রস্তুতির মাধ্যমে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে এবং ক্ষতির সম্ভাবনা কমানো সম্ভব হবে।
সামগ্রিকভাবে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই নতুন উদ্যোগগুলি রাজ্যের প্রশাসনিক কার্যক্রমকে আরও সুসংগঠিত এবং কার্যকরী করবে। জনগণের সুবিধার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটিয়ে, এই পদক্ষেপগুলি (Government Job 2024) রাজ্যের উন্নয়নে একটি নতুন দিগন্ত খুলবে।