নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রযুক্তিবিদ্যার দেবতা বিশ্বকর্মার পুজো প্রতিবছর ভাদ্র সংক্রান্তিতে হয়ে থাকে। বিশ্বকর্মা পুজোর ক্ষেত্রে এই দিনের সাধারণত কোনো রকম পরিবর্তন ঘটে না। তবে অন্যান্য দেবদেবীদের পুজোর ক্ষেত্রে যেমন বেশ কিছু বিধিনিষেধ থাকে বিশ্বকর্মা পুজোর ক্ষেত্রেও রয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। শাস্ত্র বলছে, সেই সকল বিধিনিষেধ পালনের মধ্য দিয়েই মিলতে পারে বিশ্বকর্মা পুজোর সুফল।
কথিত আছে, বিশ্বকর্মার হাত দিয়ে তৈরি হয়েছে ভূভারতের সুন্দর সুন্দর নির্মাণশৈলী, তৈরি হয়েছে পুষ্পক বিমান, দ্বারকা নগর, যমপুরী, কুবেরপুরী। এমনকি রামায়ণ বর্ণিত কাহিনী অনুযায়ী বিশ্বকর্মাই নির্মাণ করেছিলেন সুন্দর লঙ্কা নগরীর।
শাস্ত্রমতে বিশ্বকর্মা পুজোয় আবশ্যিকভাবে লাগবে দীপ, ধুপ, জল ও পৈতে। এছাড়াও পুজোর সামগ্রীতে বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হবে চন্দন, পরামর্শ জ্যোতিষবিদদের। অন্যান্য পূজা-অর্চনার মতই ফুল দিয়ে এই দেবতার আরাধনা করার পাশাপাশি জ্যোতিষবিদরা বিশ্বকর্মাকে সাদা ফুল দিয়ে অর্পণ করার পরামর্শ দেন।
শাস্ত্রমতে বিশ্বকর্মা পুজো বিশ্বকর্মার কপালে টিকা দেওয়া জরুরী। এর পিছনে যেসকল কারণ রয়েছে সেগুলি হল, দেবতার সামনে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি রাখা। দেবতার প্রতি নিবেদিত প্রাণ হওয়ার প্রতিশ্রুতির প্রমাণও টিকা।
শাস্ত্রমতে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাড়িতে থাকা যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য সরঞ্জামের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত। ইলেকট্রিকের কাজে লাগে এমন যন্ত্রপাতি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা বাঞ্ছনীয়। এর পাশাপাশি যন্ত্রপাতি অয়েলিং করে ধুয়ে মুছে রাখতে হয়। শাস্ত্রমতে এর ফলে এই সকল যন্ত্রপাতি সারাবছর ঠিকঠাক থাকে এবং ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে সুবিধা হয়।
অন্যদিকে ঘরের যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম সংক্রান্ত আলাদা নিয়ম রয়েছে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন। এই দিন বাড়িতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি এবং রান্নাঘরে ব্যবহৃত সরঞ্জাম অন্য কাউকে দেওয়া উচিত নয়। এর পাশাপাশি জ্যোতিষবিদ অনুযায়ী বিশ্বকর্মা পুজোর দিন অচেনা কারোর থেকে খাবার নিয়ে বাড়িতে আনা উচিত নয়।