নিজস্ব প্রতিবেদন : মেঘ, বৃষ্টি, ঝড়-ঝঞ্ঝা এসবের কারণে বৈশাখ মাসের শুরু পর্যন্ত মাঝে কয়েকটা দিন তাপমাত্রার পারদ চরম উর্ধ্বমুখী হলেও বাকি দিনগুলি কিন্তু বেশ ভালোভাবেই কেটে গিয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর আবহাওয়া অনেকটাই স্থিতিশীল দক্ষিণবঙ্গে। তবে এই পরিস্থিতি আর বেশি দিন থাকবে না। কেননা হাওয়া অফিসের তরফ থেকে যে পূর্বাভাস (Weather Update South Bengal) দেওয়া হয়েছে সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী, এবার তরতরিয়ে বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রার পারদ।
রবিবার হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আগামী ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত যে আবহাওয়া আপডেট দেওয়া হয়েছে সেই আপডেট অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি তাপপ্রবাহ (HeatWave Alert) দেখা যাবে দক্ষিণবঙ্গে। তাপপ্রবাহ না বইলেও অধিকাংশ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি অথবা ৪০ ডিগ্রি পার করে যাবে।
১৫ এপ্রিল অর্থাৎ সোমবার থেকে ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পুরুলিয়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৪০ ডিগ্রী, বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৪১ ডিগ্রি, পশ্চিম বর্ধমানের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৪০ ডিগ্রী, একইভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯° থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৮ ডিগ্রি বা তার আশেপাশে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলার ক্ষেত্রে হলুদ সর্তকতা অর্থাৎ সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আপডেট দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
১৫ এপ্রিল সোমবার দক্ষিণবঙ্গের কোন জেলার ক্ষেত্রেই তেমন সতর্কতা না থাকলেও বৃষ্টির পূর্বাভাসও। মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই উষ্ণ ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পূর্বাভাসের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরে তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে আগামী ১৮ এপ্রিল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সর্তকতা রয়েছে। এর পাশাপাশি আপাতত দক্ষিণবঙ্গের কোন জেলাতেই ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে না হাওয়া অফিস।
আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতি যা থাকবে তাতে বাড়ি থেকে বের হলেই চরম অস্বস্তির মধ্যে কাটাতে হবে। AC, ফ্যানের নিচেই কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যাবে। সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হবে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে। আবার সে দিক থেকে বললে উপকূলবর্তী জেলাগুলির মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের পরিস্থিতি খুব কঠিন হবে আগামী কয়েক দিন বলেই জানা যাচ্ছে হাওয়া অফিস সূত্রে।