Monthly Allowance after Divorce: শুধু স্ত্রীরা নন, পুরুষরাও ডিভোর্সের পর পেতে পারেন খরপোশ! বলছে আদালতের রায়

Not only men but also wives may have to pay monthly allowance after divorce: সাধারণত বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় বেরোজগেরে স্ত্রী চাকরিজীবী অথবা আর্থিকভাবে সচ্ছল স্বামীর কাছ থেকে খরপোশ দাবি করে থাকেন। আর এই দাবি মেটাতে বাধ্য থাকে স্বামী। তবে এবার ঘটল উলোট পুরান। বোম্বে হাইকোর্ট সম্প্রতি একটি বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় সম্পূর্ণ উল্টো রায় দিলেন। স্ত্রীকে স্বামীর ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্ত্রী প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা খোরপোষ (Monthly Allowance after Divorce) দিতে বাধ্য থাকবে তার প্রাক্তন স্বামীকে।

২.০৪.২০২৪ এ একটি বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় বোম্বে হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি শর্মিলা দেশমুখ এই রায়টি দেন। তিনি বলেন অসুস্থতার কারণে রোজগার করতে অক্ষম স্বামীর সম্পূর্ণ ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে রোজগের স্ত্রীকে। প্রতিমাসে স্বামীকে ১০ হাজার টাকা খরপোশ (Monthly Allowance after Divorce) দিতে বাধ্য থাকবে স্ত্রী। এই মামলায় নিম্ন আদালতের তরফ থেকেও একই রায় ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই রায়টি বহাল রাখলেন বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি।

বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি শর্মিলা দেশমুখের মতে, হিন্দু বিবাহ আইনের ২৪ নম্বর ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, স্বামী স্ত্রী উভয়ের মধ্যে যেকোনো একজন আর্থিকভাবে দুর্বল হলে অপরজনকে তার দায়িত্ব নিতে হবে। সেক্ষেত্রে অসহায় স্ত্রিয়ের দায়িত্ব যদি কোন স্বামী নিতে পারে তাহলে, অসুস্থতার কারণে বেরোজগেরে স্বামীর দায়িত্ব রোজগের স্ত্রী কেও নিতে হবে। প্রাক্তন স্বামী হলেও অসহায় বিপদগ্রস্ত স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে তার দায়িত্ব নেওয়া উচিত স্ত্রীর।

আরও পড়ুন 👉 Mumbai Metro Rail Ticket: মেট্রোর টিকিটে বদল! হারিয়ে যাওয়ার চান্স নেই, খুঁজে বেড়ানোরও দরকার নেই

২০২০ সালে এই দম্পতি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার জন্য আবেদন করে। নিম্ন আদালত স্ত্রীকে তার অসহায় স্বামীর দায়িত্ব নেবার নির্দেশ দেয়। নিম্ন আদালতেই বলা হয় প্রত্যেক মাসে স্বামীকে ১০০০০ টাকা করে খরপোশ (Monthly Allowance after Divorce) দিতে হবে। কিন্তু সেই মহিলা নিম্ন আদালতের রায় কে চ্যালেঞ্জ করে বোম্বে হাইকোর্টে মামলা করে। ২০২৪ সালের ২ রা এপ্রিল বোম্বে হাইকোর্ট সেই মহিলার বিপক্ষে রায় দেয়। এবং নিম্ন আদালতের রায়কেই সম্মান জানিয়ে বহাল রাখা হয়।

নিম্ন আদালত ও হাইকোর্ট উভয়ের রায়ের বিপক্ষে ওই মহিলা বলেন তিনি ২০১৯ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তাছাড়া তাকে গৃহঋন পরিষোধ করতে হচ্ছে। এই মুহূর্তে তার আর্থিক অবস্থা ভালো নেই, তাই তার পক্ষে স্বামীকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা খরপোশ দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকলে বা রোজগার না থাকলে, কিভাবে সেই মহিলা নিজের এবং তার সন্তানের খরচ চালাচ্ছেন? তা ছাড়া কিভাবেই বা গৃহঋণ পরিশোধ করছেন? তার কোন সদ উত্তর দিতে পারেনি সেই মহিলা। তাই এখনো পর্যন্ত বিচারপতির রায়ই বহাল রয়েছে।