নিজস্ব প্রতিবেদন : তারাপীঠের যে সকল উৎসব হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো কৌশিকী অমাবস্যা। এই কৌশিকী অমাবস্যাই হল তারাপীঠের প্রধান উৎসব। এই অমাবস্যায় সাধক বামাক্ষ্যাপা তারামায়ের সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন বলে কথিত আছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই তন্ত্র পিঠে প্রতিবছর কৌশিকি অমাবস্যায় লক্ষ লক্ষ ভক্তদের সমাগম হয় সিদ্ধি লাভের জন্য।
করোনা কালে গত দু’বছর তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যায় ছিল সব কিছু থমথমে। স্বাস্থ্যবিধির গেরোয় ভক্তদের ভিড়ে লাগাম টানা হয়েছিল। তবে এই বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই আগের ছন্দে ফিরেছে কৌশিকী অমাবস্যা। তারাপীঠে দু’দিন আগে থেকেই পুন্যার্থীদের সমাগম হতে শুরু করেছে।
কৌশিকী অমাবস্যায় শুক্রবার সকাল ৬ টায় তারা মায়ের দর্শনের জন্য গর্ভ গৃহ খুলে দেওয়া হয়। দুপুরে কেবলমাত্র অন্য ভোগ চলাকালীন ১২টা থেকে বন্ধ থাকে গর্ভগৃহ। এরপর ফের দুপুর ১টার সময় তারা মায়ের ভোগ নিবেদন হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় গর্ভগৃহ ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে তারা মায়ের পূজা অর্চনা যাতে আগত পূর্ণ্যার্থীরা দেখতে পান তার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিন কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে রীতিমেনে তারা মায়ের বিশেষ ভোগের আয়োজন করা হয়। তারা মায়ের এই বিশেষ ভোগে ছিল ১৬ থেকে ১৭ রকমের ভাজা, খিচুড়ি, পায়েস, পোলাও, অন্ন, চাটনি, মিষ্টি এবং শোল মাছ পোড়া। দুপুরে তারা মায়ের মধ্যাহ্নভোগের পাশাপাশি সন্ধ্যাবেলায় রয়েছে সন্ধ্যারতি।
এছাড়াও কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে সারারাত তারা মায়ের গর্ভ গৃহ খোলা থাকবে এবং পুণ্যার্থীরা তারা মায়ের দর্শন করতে পারবেন। আগত পুণ্যার্থীদের জন্য সমস্ত রকম বন্দোবস্ত করা হয়েছে তারাপীঠ মন্দির কমিটি এবং বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে।