নিজস্ব প্রতিবেদন : হাতে মাত্র আর কয়েকটি দিন, তারপরেই শুরু হয়ে যাবে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela)। প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে থাকেন। বছরের এই দিনটির জন্য যেন বসে থাকেন স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে ভক্তরা। এই বিপুলসংখ্যক পুণ্যার্থীদের সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় প্রশাসনকে। এরপর আবার সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় মুড়িগঙ্গা নদী পারাপারের ক্ষেত্রে।
মুড়িগঙ্গা নদী পারাপারের জন্য পুণ্যার্থীদের মূলত জলপথ ব্যবহার করতে হয়। যে কারণে তাদের ভেসেল অথবা বার্জের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় দীর্ঘ সময় ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে আবার কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়ে যায় যদি কুয়াশা অথবা ভাটা থাকে। কেননা নদীর নব্যতা কমে যাওয়ার ফলে ভাটার সময় ভেসেল বা বার্জ নিয়ে যাতায়াত করা সম্ভব হয় না। অন্যদিকে কুয়াশার কারণেও যাতায়াত করা অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।
এমন সব পরিস্থিতির মধ্যে পুণ্যার্থীদের বড় বড় ব্যাগ কাঁধে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় আর অপেক্ষা করতে হয় কখন ছাড়বে ভেসেল বা বার্জ। এমন সব অসুবিধার কথা মাথায় রেখে ইসরোর (ISRO) তরফ থেকে একটি ডিভাইস তৈরি করা হয়েছে এবং সেই ডিভাইস এবার ব্যবহার করতে চলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। ইসরোর তরফ থেকে যে ডিভাইস তৈরি করা হয়েছে সেই ডিভাইস প্রতিটি ভেসেল এবং বার্জে লাগানো থাকবে। এই ডিভাইস লাগানো থাকলে অনেক দিক দিয়ে সুবিধা পাওয়া যাবে এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা করতে হবে না অনুকূল পরিবেশের জন্য।
আরও পড়ুন ?ধর্মতলা থেকে উঠে যাবে বাসস্ট্যান্ড! কোথায় সরছে, জানালেন পরিবহন মন্ত্রী
ইসরোর তরফ থেকে যে ডিভাইসটি তৈরি করা হয়েছে সেই ডিভাইসটি মূলত জিপিএস ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে কাজ করে থাকে। এই ডিভাইস লাগানো থাকলে ভেসেল এবং বার্জের চালকরা অন্ধকার ও কুয়াশার মধ্যেও অ্যাপের মাধ্যমে লোকেশন বুঝে সঠিক জায়গায় পৌঁছে যেতে পারবেন। এছাড়াও নদীর নাব্যতা অর্থাৎ কোন জায়গায় বেশি জল রয়েছে তাও বোঝা যাবে। এর ফলে ভাটার জন্য আটকে থাকতে হবে না এইসব জলযানদের।
এই ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করার জন্য প্রতিটি ভেসেল এবং বার্জের সারেঙদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। এর পাশাপাশি কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ যাতে সর্বদা নিরবিচ্ছিন্ন থাকে তার জন্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও যাতে কুয়াশার সময় জলযানদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বাধার সৃষ্টি না হয় তার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে অত্যাধুনিক ফগ লাইট আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।