নিজস্ব প্রতিবেদন : রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য পেটিএম-এর (Paytm) পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের (Paytm Payments Bank) লাইসেন্স পুরোপুরিভাবে বাতিল করে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২৯ ফেব্রুয়ারির পর আর পেটিএম পেমেন্টস ব্যাংকের পরিষেবা পাওয়া যাবে না। তবে এই নির্দেশের পরও পেটিএম অ্যাপ চালু থাকবে, কেননা তার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি।
যদিও সংস্থার ওপর এমন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর সাধারণ মানুষদের সংস্থার প্রতি আস্থা উড়ে গিয়েছে। এমনকি ব্যবসায়িক বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে বলা হচ্ছে ‘পেটিএম ছাড়ো’। এমন পরিস্থিতিতে দেশের লক্ষ লক্ষ গ্রাহক রয়েছেন যারা নানান ভাবে সমস্যায় পড়েছেন, কেননা এই সকল গ্রাহকদের অনেককেই কেবলমাত্র পেটিএম পেমেন্টস ব্যাংকের বিভিন্ন পরিষেবার ওপর নির্ভরশীল। সংস্থার ব্যবসা নিয়ে যখন এমন ডামাডোল পরিস্থিতি চলছে ঠিক সেই সময় আবার মুকেশ আম্বানিকে (Mukesh Ambani) নিয়ে একটি জল্পনা ছড়ালো।
পেটিএম-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর এই প্ল্যাটফর্ম আদৌ সুরক্ষিত কিনা তা নিয়ে যখন নানান প্রশ্ন উঠছে ঠিক সেই সময় শোনা যাচ্ছে, মুকেশ আম্বানি নাকি কিনে নিতে পারেন Paytm। শোনা যাচ্ছে, ভারত তথা এশিয়ার সবচেয়ে ধনী শিল্পপতির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ পেটিএম ওয়ালেট কিনে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। তবে শুধু মুকেশ আম্বানি নন, এই তালিকায় রয়েছে আরও একটি বৃহৎ ব্যাংকিং সংস্থা।
পেটিএম-এর মালিকানা হস্তান্তর নিয়ে নাকি গত বছর নভেম্বর মাসে মুকেশ আম্বানির সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছিল paytm এর সিইও বিজয় শেখর শর্মার। জিও ফিনান্সিয়ালের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। তবে যখনই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে সংস্থার উপর এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করে অর্থাৎ পেমেন্টস ব্যাঙ্ক পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ দেয় তখন আবার সংস্থার ওয়ালেট কেনার দৌড়ে নেমে পড়েছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কও।
মুকেশ আম্বানির Jio ফিনান্সিয়াল অথবা এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক paytm ওয়ালেট কেনার দৌড়ে রয়েছে বলে জানা গেলেও এই দুই সংস্থার তরফ থেকে এখনো প্রকাশ্যে কিছু জানানো হয়নি। অন্যদিকে এমন জল্পনা ছড়িয়ে পড়ার পরে আচমকা চড়চড় করে দাম উঠতে দেখা যায় জিও ফিনান্স সার্ভিসের স্টকের। একদিনে ১৫ শতাংশের বেশি শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পায়। তবে এই জল্পনা যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে লক্ষ লক্ষ পেটিএম ওয়ালেট ব্যবহারকারীদের জন্য তা আশীর্বাদ হয়ে ঝরে পড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।