ভেস্তে গেল সব প্ল্যান! খুব সহজ ভেবেছিল চিন, ভারতের হয় উচিত শিক্ষা দিল শ্রীলঙ্কা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বারবার ভারত এবং চীনের মধ্যে সম্পর্ক মধুর গড়ার প্রচেষ্টা চালানো হলেও তা সম্ভব হয় না। ব্যবসা থেকে শুরু করে সামরিক শক্তি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সবসময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলতে রাখা যায় ভারত (Bharat) এবং চীনের (China) মধ্যে। বিভিন্ন সময় সীমান্ত এলাকা থেকে শুরু করে নানান ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে দুই দেশের প্রতিযোগিতারও খামতি নেই। অভিযোগ, চীনের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে আন্তর্জাতিক মহলে।

Advertisements

ঠিক সেই রকমই ভারতকে জব্দ করতে চিনির তরফ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। তবে সেই সকল পরিকল্পনায় তারা সবসময় সফল হয় না। ঠিক সেই রকমই এবার ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) চীনকে একটি বিষয়ে উচিত শিক্ষা দিয়ে দিল। চীনকে যে বিষয়ে উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে তা চীন হয়তো কল্পনাও করতে পারেনি। তারা বিষয়টিকে হয়তো খুব সহজ ভেবেছিল।

Advertisements

আসলে ড্রাগনদের ছক ছিল শ্রীলঙ্কায় নজরদারি জাহাজ নোঙর করার। শ্রীলঙ্কার জলভাগে যদি এই নজরদারি জাহাজ নোঙর করা যেত তাহলে সেখান থেকে ভারতের উপর নজর চালানো অনেক সহজ হত। বন্ধু দেশ হিসাবে শ্রীলঙ্কা এই বিষয়টি বুঝতে পারে এবং তারপরই চীনকে তাদের নজরদারি জাহাজ শ্রীলঙ্কার জলভাগে নোঙর করতে অনুমতি দেয়নি। ভারতের উদ্বেগের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রী আলি সাবরি।

Advertisements

আলি সাবরি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, “সব সময় ভারতের উদ্বেগের কথা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। চিনা জাহাজের গতিবিধি নিয়ে ইতিমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই এই বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে এবং সেই মতো আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করেছি। বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই এই নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে এবং বন্ধু দেশের তালিকাতে রয়েছে ভারতও।”

এর পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, একটি চিনা জাহাজ অক্টোবর মাসে শ্রীলঙ্কা বন্দরে নোঙর করতে অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু সেই অনুমতি এখনো দেওয়া হয়নি। মনে করা হচ্ছে যে জাহাজটি নোঙর করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে তার নাম শি ইয়ান ৬। চিনের দাবি এই জাহাজটি সমুদ্রের গবেষণা চালাচ্ছে। অন্যদিকে ভারতের দাবি, গবেষণা নয় এই জাহাজটি চড়বৃত্তির উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা হচ্ছে।

Advertisements