নিজস্ব প্রতিবেদন : উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশের পর অসন্তোষের জেরে বীরভূমে প্রথম আন্দোলন তৈরি হয় রামপুরহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর দাবিতে ওই স্কুলের ছাত্রীরা তুমুল বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা গিয়েছিল। এবার যখন পর্ষদের তরফ থেকে মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা নিয়ে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তখন সেই সময়সীমায় তারা সন্তুষ্ট না হয়ে সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটালো।
মঙ্গলবার এই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রীরা অর্থাৎ যারা এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে তারা স্কুলের মূল গেটের সামনে রাস্তার উপর বসে বিক্ষোভে শামিল হয়। তাদের দাবি, টেস্ট পরীক্ষার ডেট পিছোতে হবে এবং সাজেশন দিতে হবে। কারণ হিসেবে তারা তুলে ধরেন ক্লাস না হওয়ার যুক্তি।
দীর্ঘক্ষণ ধরে এই বিক্ষোভ চলে। এলাকার সাধারণ পথচলতি মানুষেরাও এই বিক্ষোভের কারণে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হন। পরে রামপুরহাট থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতির মোকাবিলা করে। কোন ভাবে বুঝিয়ে ওই ছাত্রীদের আন্দোলন থেকে বিরত করা সম্ভব হয়।
আন্দোলনরত ছাত্রীদের এক ছাত্রী মুনমুন খাতুন জানিয়েছেন, “যেদিন থেকে স্কুল খুলেছে সেদিন থেকে ভালোভাবে ক্লাস হয়নি একদিনও। এছাড়াও আমাদের টেস্ট পরীক্ষার জন্য সাজেশন দেওয়া হয়নি। আমরা কখনোই বলছিনা পরীক্ষা দেব না। আমরা চাই পরীক্ষার ডেট পিছানো হোক এবং সাজেশন দেওয়া হোক। রামপুরহাটের অন্যান্য স্কুলগুলিতে সাজেশন দেওয়া হয়েছে।”
এই বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মল্লিকা হালদার জানিয়েছেন, “পরীক্ষার ডেট পিছানোর মত ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই। পরীক্ষার ডেট ঠিক করেছে পর্ষদ। আর সাজেশন অথবা অন্যান্য ক্ষেত্রে সমস্ত রকম সহযোগিতা করবেন স্কুলের শিক্ষিকারা। ক্লাস শুরু হয়েছে, ক্লাসে এলেই ছাত্রীদের সমস্ত রকম সহযোগিতা করা হবে।”
প্রসঙ্গত, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর এই স্কুলেই প্রথম লক্ষ্য করা গিয়েছিল তুমুল বিক্ষোভ। পরবর্তীকালে একই ধরনের বিক্ষোভ লক্ষ্য করা গিয়েছিল জেলা তথা রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে। পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার দিন পেছানোর জন্য অন্যত্র আন্দোলন তৈরি হবে নাতো? এখন তৈরি হচ্ছে এই আশঙ্কায়।