আঞ্চলিক দল না গড়ে শুভেন্দু কেন বিজেপিতে, ফাঁস করলেন নিজেই

নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃণমূলের সাথে যখন থেকে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর বনিবনা শুরু হয়েছিল তখন থেকেই ওয়াকিবহাল মহলের বিশেষজ্ঞরা দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন। কেউ কেউ মনে করছিলেন তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন। আবার কেউ কেউ মনে করছিলেন নিজেই হয়তো একটি দল গড়বেন। আবার এরই মাঝে কারোর কারোর মনে হচ্ছিল তিনি হয়তো ক্ষোভ সামলে দলেই থাকবেন।

তবে এসব পুরনো কথা। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। আর এই নাম লেখানোর সাথে সাথেই সেই সকল জল্পনার অবসান ঘটেছে। কিন্তু জল্পনার অবসান ঘটলেও ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের প্রশ্ন কেন শুভেন্দু অধিকারী নতুন আঞ্চলিক দল না গড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন। কারণ তাদের মধ্যে আশা ছিল হয়তো তিনি নতুন দল গড়বেন। এমনকি তৃণমূলের একাংশের মধ্যেও এমনটা ঘুরছিল বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

তবে এই সকল বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর শুভেন্দু অধিকারীর মুখ থেকেই পাওয়া গেল নতুন বছরের প্রথম দিনেই। নতুন বছরের প্রথম দিনে শুভেন্দু অধিকারী কাঁথিতে যোগদান মেলায় অংশগ্রহণ করেন। সেখানে তার হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান তার ছোটভাই সৌমেন্দু অধিকারীর। আর সেখানেই তিনি এই সকল প্রশ্নের উত্তর ফাঁস করেন।

শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, “বলছিল বাপের বেটা হলে আঞ্চলিক দল করলি না কেন। খুব সুবিধা হতো না! সরকার বিরোধী ভোটটা কাটতাম ২ পার্সেন্ট ৪ পার্সেন্ট। তোমাদের সুবিধা হতো। আর আমি আঞ্চলিক দল করতাম, আমি বুড়ো হয়ে গেলে বা মারা গেলে আমার ভাইপো আমার সেই দলের মালিক হতো। আর আমি ঐসব টুপি পরিনি বলে পৃথিবীর সবথেকে বড় রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছি।”

পাশাপাশি তিনি এদিন মঞ্চ থেকে হুংকার দিয়ে বলেন, “ধর্ম যুদ্ধে নেমেছি। যেসব কোন ক্যাটাগরির মাল ঢালকে দিয়ে তুলছেন মমতা ব্যানার্জি, সেই সব মাল ঢালকে দিয়ে জিততে পারবেন না। আপনাকে কেমন করে হারাতে হয় সেটা আমি করবো। আমার সঙ্গে কি ডিল হয়েছে বিজেপির? কোনো ডিল হয়নি। কি ডিল হয়েছে জানেন? এসএসসি পরীক্ষা প্রতিবছর হবে। প্রতি বছর চাকরি। টেট পরীক্ষায় পাস করা যুবক যুবতীরা চাকরি পাবে।”