Sukhoi-30 MKI: কঠিন পরিস্থিতি হলেই রাস্তায় নামবে যুদ্ধবিমান! ভারতের শক্তি দেখে ভয়ে কাঁপছে শত্রুরা

Sukhoi-30 MKI fighter jet conducts road landing test in difficult conditions: মূলত যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করার জন্যই তৈরি হয় যুদ্ধবিমান। যা বিমান ঘাঁটিতেই উঠানামা করে। কিন্তু হঠাৎ করেই ফাইটার জেট বিমানঘাঁটি না ছুঁয়ে নেমে এলো লখনউ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে। যেন হঠাৎ করেই তৈরি হল যুদ্ধক্ষেত্র। স্পর্শ করল সড়কপথ। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ স্থানীয়দের। আবার কিছুক্ষণ পরেই ঊর্ধ্বগামী হলো ফাইটার জেট বিমান সুখোই-৩০ এমকেআই (Sukhoi-30 MKI)। আচমকা কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হলো? কিসের ইঙ্গিত দিল এই যুদ্ধবিমান? লখনউ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের মহড়া চলছিল নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্য? প্রকাশ্যে এলো ভিডিওসহ তথ্য।

প্রসঙ্গত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে ধারণা আসে যুদ্ধবিমানের। ১৯০৬ সালে এই বিমান নিয়ে চলে নানান গবেষণা। আর তখনই বিমানকে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করার ধারণা তৈরি হয়। অর্থাৎ যেখানে যুদ্ধ ক্ষেত্র তৈরি হবে সেই স্থানের ভূমিতে অবস্থিত বস্তু বা শত্রুদের ওপর থেকে আক্রমণের জন্যই এই যুদ্ধবিমানের ব্যবহার শুরু হয়। পূর্বে একটি ইঞ্জিনবিশিষ্ট যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়। যা বায়ু সেনাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

সেরকমই দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান হল সুখোই-৩০ এমকেআই (Sukhoi-30 MKI)। যা রাশিয়ার সুখোই দ্বারা উদ্ভাবিত এবং কেন্দ্রীয় বায়ু সেনাদের জন্য ভারতীয় হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড দ্বারা নির্মিত। বহুমুখী বায়ু শ্রেষ্ঠ যুদ্ধবিমান এই সুখোই ৩০ এমকেআই। যা রাশিয়ার থেকে প্রায় ২ দশক আগে কিনে নেয় ভারত। বর্তমানে কেন্দ্রীয় বায়ু সেনার হাতে রয়েছে ২৭২টি সু-এমকেআই যুদ্ধবিমান, যা ২ ইঞ্জিন বিশিষ্ট। কিন্তু প্রশ্ন হল এতগুলোর মধ্যে হঠাৎ সুখোই-৩০ এমকেআই কেন সড়কপথে নেমে এলো?

আরও পড়ুন 👉 Indian Rupee Power: আমেরিকা নয়, বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রা এই দেশের, কত নম্বরে রয়েছে ভারত

সূত্র জানাচ্ছে, যুদ্ধবিমানের কার্যক্ষমতা বাড়াতে চায় ভারতীয় বায়ু সেনা। যা প্রায় অতিরিক্ত ২০ বছর চলতে পারে। সেই ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন মিশন কন্ট্রোল সিস্টেম, অস্ত্র, ইলেকট্রনিক প্রকৌশল, নতুন রাডার। যার জন্য ৬০ হাজার টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। পাশাপাশি এই প্রকল্পের দায়িত্ব পড়েছে ডিআরডিও এবং হিন্দুস্তান অ্যারোনেটিক্স লিমিটেডের উপর যৌথভাবে।

শুধু তাই না, এই যুদ্ধবিমানের দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক মহড়ার অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে প্রতিরক্ষা বাহিনী তরফে। যার কেন্দ্রস্থল লখনউ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ে। যা বায়ু সোনার মিশন গগন শক্তির অন্তর্গত। আর সেই এক্সপ্রেসওয়েতেই মহড়া সফল হল সুখোই-৩০ এমকেআই (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমানের। সড়ক পথে নেমে ক্ষমতা দেখাল এই যুদ্ধবিমান, যা আতঙ্কে রাখবে ভারত বিরোধীদের।