নিজস্ব প্রতিবেদন : হেন কোন রাজনৈতিক দল নেই যারা ভোটের আগে প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে দেন না। কিন্তু লক্ষ্য করা যায় ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভোটের পর তারা নিমিষে ভুলে যান। নিমেষে ভুলে যাওয়া তো দূরের কথা, এমনকি সাধারণ নাগরিকদের অভিযোগ, ভোটের পর বহু জয়ী জনপ্রতিনিধিদের টিকি পর্যন্ত পাওয়া যায় না।
ভোটের আগে এইভাবে ভুরি ভুরি প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটের পর সেই সকল প্রতিশ্রুতি ভুলে যাওয়ার বিরুদ্ধে সম্প্রতি দেশের উচ্চ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা রুজু করা হয়। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই নড়েচড়ে বসেছে আদালত।
জনস্বার্থ মামলা করার পাশাপাশি মামলাকারীদের তরফ থেকে আদালতে আবেদন করা হয়েছে, যে সকল রাজনৈতিক দলগুলি ভোটে জেতার জন্য দান খয়রাতির মাত্রাতিরিক্ত প্রতিশ্রুতি দেবে সেই সকল রাজনৈতিক দলগুলির প্রতীক যেন কেড়ে নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি আবেদন জানানো হয়েছে ওই সকল রাজনৈতিক দলগুলির রেজিস্ট্রেশনও যেন বাতিল করা হয়। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিমকোর্ট কেন্দ্র ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ পাঠিয়েছে।
জনস্বার্থ এই মামলাটি শুনতে রাজি হওয়ার পর আদালতের বিচারপতি প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, বিচারপতি এএস বোপান্না ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করে জানান, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে এটি প্রভাব ফেলার পাশাপাশি অবাধ নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে পাঞ্জাবের প্রসঙ্গ তোলেন। কারণ পাঞ্জাবে ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি হিসাবে মহিলাদের মাসে মাসে ১০০০ টাকা বা ২০০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন, কে এই টাকা যোগাবে?
ভোটে জিততে সরকারে এলে সরাসরি এইভাবে সরাসরি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি একাধিক নির্বাচনের আগে লক্ষ্য করা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের আগেও শাসক দল তৃণমূল এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যদিও শাসক দল সরকারে প্রত্যাবর্তন করে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য নতুন একটি প্রকল্প তৈরি করে।