নিজস্ব প্রতিবেদন : মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে যেমন চরম জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে, ঠিক তেমনই পাশাপাশি তিনি কোন শর্তে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সেই প্রশ্ন ঘুরছিল ওয়াকিবহাল মহলে। আর এই প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের মাথায় ঘোরার পাশাপাশি তারা তাকিয়ে ছিলেন কবে এই রহস্যের উন্মোচন হবে।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর বেশ কিছুটা সময় এবং রাজনৈতিক মহলে জল্পনা জিয়ে রাখলেও শর্তের রহস্য উন্মোচনে বেশি সময় লাগালেন না তিনি। খোলা মঞ্চে প্রকাশ্য জনসভায় নিজের মুখে সেই রহস্যের ফাঁস করলেন তিনি। আর এই রহস্যের ফাঁস ধরা পড়লো বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তার দ্বিতীয় বক্তব্যের মাঝেই।
বিজেপিতে যোগদানের পর মঙ্গলবার প্রথম দলীয় সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব বর্ধমানের উত্তর পূর্বস্থলী বিধানসভার ছাদনিতে। আর এই সভাতেই বক্তব্য রাখার সময় রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী প্রথম থেকেই তৃনমূল সরকার, মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁছাছোলা আক্রমণ করেন। আর এই আক্রমণ সানানোর সময়েই তিনি কোন শর্তে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তা খোলাসা করেন।
বক্তব্য রাখার সময় তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা থেকে বিজেপির হাত ধরেই আজ রাজ্যশাসনে আসা তা মনে করিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, “দল প্রতিষ্ঠার পর প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী বা আডবাণীরা তৃণমূল কংগ্রেসকে আশ্রয় না দিলে এই দলটা ২০০১ সালের আগেই উঠে চলে যেত। কেউ তা অস্বীকার করতে পারবেন না।” এর পরেই নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় কিভাবে বিজেপি নেতারা তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছিল তা মনে করিয়ে দেন তিনি।
আর এরপর তিনি নিজের বিজেপিতে যোগদানের শর্তের কথা বলেন। বলেন, “আমি মীরজাফর নয়, বিশ্বাসঘাতক নয়। ওই দলটা এখন কোম্পানিতে তৈরি হয়েছে। কারোর মান সম্মান থাকলে ওই দলে থাকবেন না। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে একাধিকবার অমিত জি, দিলীপ দার মত নেতাদের সাথে কথা হয়েছে। কিন্তু আমি কোথাও কোনো শর্ত রাখিনি। শর্ত একটাই, তোলাবাজ ভাইপোর হাত থেকে বাংলাকে বাঁচান। কয়লা পাচার, গরু পাচার হয়ে গেছে। ধরাও পড়ে গেছে। একুশে এরা যদি যেতে তাহলে শুধু কিডনি পাচার বাকি আছে।”