নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলার রাজনীতির চাণক্য মুকুল রায় এখন হাসির খোরাক হয়ে পড়েছেন। বারংবার তার বেফাঁস মন্তব্যের কারণে এমন হাসির খোরাকে তিনি পরিণত হয়ে উঠেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। আগেও বেফাঁস মন্তব্য করার পাশাপাশি সম্প্রতি শুক্রবার তাকে পুনরায় বেফাঁস মন্তব্য করতে লক্ষ্য করা যায়। আর সেই মন্তব্য শুনে হেসে খুন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তৃণমূল থেকে বিজেপি, বিজেপি থেকে তৃণমূলের প্রত্যাবর্তনের পর কৃষ্ণনগরের বিধায়ক মুকুল রায় প্রথম এমন বেফাঁস মন্তব্য করেন তারই বিধানসভা কেন্দ্রে। যেখানে উপ নির্বাচন নিয়ে তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আসন্ন উপনির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি প্রতিটি আসনে জয়লাভ করবে।” এমন মন্তব্য পাশ থেকে শুধরে দিলেও তিনি কিন্তু তার মন্তব্যে অনড় থাকেন।
সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে শুক্রবার বোলপুরে। এবার খোদ বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে পাশে দাঁড় করিয়েই তিনি বলে ওঠেন, “এই পুরসভা নির্বাচনে সারা বাংলায় বিপুল ভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি জয়ী হবে।” এই মন্তব্য শুনে স্বাভাবিকভাবেই স্তম্ভিত হয়ে যান তার সঙ্গে থাকা তৃণমূল নেতাকর্মীরা। পিছন থেকে তাকে শুধরে দিলেও তিনি আবার বলেন, “হ্যাঁ, ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তৃণমূল”।
তাজ্জব এই ঘটনায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল রীতিমতো বিব্রত হয়ে ওঠেন এবং বলতে শোনা যায় ‘ঠিক আছে, চলো’। অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার জন্য রাতে ফের সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন অনুব্রত মণ্ডল এবং জানান, মুকুল রায় আর মুকুল রায় নেই। তিনি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তার শরীরে সোডিয়াম পটাশিয়াম শর্ট থাকার কারণে এইসব ভুলভাল বকছেন।
অন্যদিকে এই প্রশ্ন যখন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সামনে ওঠে তখন শুভেন্দু অধিকারীর তো হেসে খুন হওয়ার মত অবস্থা। বারবার তিনি হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করেন, ‘কি বলেছে?’ এরপর হো হো করে হাসতে লক্ষ্য করা যায় তাকে। এর পরে তিনি জানান, “এটা হাসি ছাড়া আর কিছু নেই। হাসবো ছাড়া আর কি বলব? কিচ্ছু বলার নেই। সুপ্রিমকোর্টে বলবো আমরা। জানুয়ারির ১৭ তে ডেট আছে।” তবে এই উত্তর দেওয়ার মাঝেও শুভেন্দু অধিকারীকে হেসে লুটোপুটি খেতে লক্ষ্য করা যায়।