Lakshmir Bhandar: ‘দাবি ২০০ টাকা’, না দিলে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার? লুঙ্গি পরে আদায়ে পঞ্চায়েত ট্যাক্স কালেক্টর

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে এখন ট্রেন্ডিং বলতে দুটি জিনিস, একটি হলো সন্দেশখালি আর একটি লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পেতে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কী সব করতে হয় তা সন্দেশখালির মহিলারা ইতিমধ্যেই সবার সামনে এনেছেন। তবে এসবের মধ্যেই আরও একটি ভয়ঙ্কর অভিযোগ সামনে এলো বীরভূমে। রবিবার এমন অভিযোগ তুলতে দেখা যায় সিঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলাদের।

Advertisements

সিঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতে রবিবার দেখা যায় একটি শিবির তৈরি করা হয়েছে। যেখানে লুঙ্গি পরে বসে রয়েছেন পঞ্চায়েতের ট্যাক্স কালেক্টর অশোক প্রামানিক এবং তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গো। যেখানে ট্যাক্স আদায় করার শিবির করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। কিন্তু এই শিবিরের বিরুদ্ধেই স্থানীয় বাসিন্দাদের একের পর এক অভিযোগ তুলতে দেখা গেল। আর সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর দিতে গিয়ে রীতিমত থতমত খেতে হয় অশোক প্রামানিককে।

Advertisements

স্থানীয় মহিলা থেকে শুরু করে বাসিন্দাদের অধিকাংশের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, প্রত্যেকের কাছে ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি আধার কার্ডের জেরক্স এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তথ্য নেওয়া হচ্ছে। যদি কেউ এই টাকা না দেন তাহলে তাহলে লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং বার্ধক্য ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে বলেই জানানো হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে তাদের তরফ থেকে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Yuvasree Prakalpa allotment Increase: লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অতীত, এবার এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার প্রতি মাসে দেবে ২০০০ টাকা

গ্রামের মহিলা থেকে শুরু করে অন্যান্য বাসিন্দারা এমনটা শুনেই তড়িঘড়ি ২০০ টাকা করে দিতে রীতিমতো লাইন জমাচ্ছেন ওই ট্যাক্স কালেক্টরের কাছে। গ্রামের প্রত্যেকটি মহিলাদের তরফ থেকেই ২০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে এবং তার বদলে পঞ্চায়েতের করের রশিদ দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনাকে নিয়ে এলাকায় রীতিমতো শোরগোল পড়তে দেখা যায়। যদিও ট্যাক্স কালেক্টর অশোক প্রমাণিক লক্ষ্মীর ভান্ডার বা বার্ধক্য ভাতার সঙ্গে এই করের কোন সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন।

তিনি দাবি করেছেন, “বাড়িঘর জায়গা জমির হিসেব অনুযায়ী কারো কাছে ২০০ টাকা, কারো কাছে ৫০০ টাকা কর নেওয়া হচ্ছে। তিনি কাউকে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে বলেননি।” তবে গ্রামের মহিলারা কিন্তু বারবার দাবি করছেন, তাদের সবার থেকেই ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে আর ২০০ টাকা না দিলে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে এমনটাই বলা হয়েছে। অন্যদিকে কেন আধার কার্ড নেওয়া হচ্ছে এই প্রশ্ন উঠলে অশোক প্রামাণিক জানান, লাইফ সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য আধার কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তথ্য নেওয়া হচ্ছে।

Advertisements