নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে ইতিমধ্যেই বড়োসড়ো থাবা বসিয়েছে করোনা। বিশেষজ্ঞরা তা দেখে মনে করছেন, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। একইভাবে ভয়ঙ্কর আকারে বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই সংক্রমণের ভয়ঙ্কর মাত্রা ঠেকাতে বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতনে আগত পর্যটকদের হোটেলে থাকা নিয়ে বীরভূম জেলা প্রশাসন একাধিক বিধি-নিষেধ জারি করেছে। এর পাশাপাশি তারাপীঠে আগত পুণ্যার্থীদের নিয়েও মঙ্গলবার একটি প্রশাসনিক বৈঠক করা হয়। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত থেকে মনে করা হচ্ছে আজই তারাপীঠের সমস্ত হোটেল খালি করে দেওয়া হতে পারে। এরপর আর অনলাইন বুকিং হবে না। তবে স্পট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে এখনো সঠিক সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি প্রশাসন।
প্রশাসনের এদিনের বৈঠক থেকে এক প্রকার স্পষ্ট তারাপীঠের হোটেলগুলি মোটামুটি ভাবে বন্ধ হতে চলেছে। যদিও তারাপীঠ মন্দির বন্ধ হবে না এমনটাও জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারাপীঠ মন্দিরে আগত পুণ্যার্থীরা পুজো দিতে পারবেন এমনটাই জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। প্রশাসনের পাশাপাশি মন্দির কমিটিও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে নজরদারি চালাবে।
তারাপীঠ মন্দিরে আগত পুণ্যার্থীদের মন্দিরে প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম মানা হবে বলেই জানিয়েছেন তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়। বিশেষ পদ্ধতি উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি জানান, মন্দিরে ৫০ জন করে পূর্ণার্থী প্রবেশ করানো হবে। ধাপে ধাপে এক ব্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার পর অন্য ব্যাচ প্রবেশ করানো হবে।
মন্দির খুলে রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ হলেও হোটেল নিয়ে ঐক্যমতে প্রশাসনের সঙ্গে ঐক্যমতে আসতে পারেননি স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত পুরোপুরি অনলাইন হোটেল বুকিং বন্ধ থাকলেও বাকি পদ্ধতিতে বুকিং নিয়ে কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ হচ্ছে তা জানানো হবে বলে জানা যাচ্ছে প্রশাসন সূত্রে।